ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ
ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হলে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে অ্যাপটির মালিক চীনা কোম্পানি বাইটিড্যান্স। সোমবার বাইটিড্যান্স কর্তৃপক্ষ এই হুঁশিয়ারি দেয়। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ শনিবার এই মর্মে একটি বিল পাস করে। বাইটিড্যান্সের মার্কিন শাখার কর্মকর্তা এবং টিকটকের পাবলিক পলিসি বিভাগের প্রধান মাইকেল বেকারম্যান এ ইস্যুতে কোম্পানির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই অনাকাক্সিক্ষত যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকানপন্থি স্পিকার এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়ই টিকটক নিষিদ্ধ করতে চায়। তবে যাই হোক, তাদের কাজ তারা করবেন। সত্যিই যদি যুক্তরাষ্ট্র এই আইন চালু করে, তা হলে প্রেসিডেন্ট যেদিন (আইনটিতে) স্বাক্ষর করবেন, সেদিনই আমরা আদালতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কার্যক্রম শুরু করব।
বেকারম্যান বলেন, যদি আইনটি পাস হয়, তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে যে ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন, তাদের অনেকের আয়ের উৎস এই অ্যাপ। অন্তত ৭০ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছেন, যারা ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালান। তাই আইনটি কার্যকর হলে আদালতে আমাদের লড়াই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
বাইটিড্যান্স ২০১৬ সালে প্রথম টিকটককে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মোচন করেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের প্রস্তাবে ভোটে নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৬০ জন প্রতিনিধি, বিপক্ষে দিয়েছেন ৫০ জন। আইনটির অনুলিপিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করলে তা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, নাগরিকদের কাছে টিকটকের অতিমাত্রায় জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা মার্কিন রাজনীতিবিদ ও সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সেই দুশ্চিন্তারই ফসল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হওয়া বিলটি। -আরটিএ অবলম্বনে।