
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় চলমান যুদ্ধের ছায়া এবার আরও ঘনিয়ে এসেছে দখলকৃত পশ্চিম তীরে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে শুরু করেছে ব্যাপক ধরপাকড় ও ঘরবাড়ি ধ্বংসের অভিযান। এই অভিযানের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে দক্ষিণ পশ্চিম তীরের এলাকা মাসাফার ইয়াত্তা — যেখানে কয়েক বছর ধরেই ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলছে দমন-পীড়ন, বসতবাড়ি উচ্ছেদ ও সহিংসতা।
মাসাফার ইয়াত্তা অঞ্চলটিকে দীর্ঘদিন ধরে “সামরিক অনুশীলন ক্ষেত্র” ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এর ফলে এখানে বসবাসকারী হাজারো ফিলিস্তিনিকে বারবার উচ্ছেদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের জেরে বর্তমানে এই অঞ্চলজুড়ে উচ্ছেদ ও ধ্বংসের মাত্রা আরও বেড়েছে।
সাম্প্রতিক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনারা বুলডোজার দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। পরিবারগুলো নিজেদের মালামাল নিয়ে ঘরের ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে অসহায়ভাবে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ শিশু সন্তানদের কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্য, ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল। কেননা, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের এই ধরনের উচ্ছেদ কার্যক্রম অবৈধ বলে গণ্য হয়। অথচ, এই ঘটনাগুলোর বিরোধিতা করার মতো কার্যকর কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এখনো দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা এখানে শত শত বছর ধরে বাস করছি। এখন আমাদের বলা হচ্ছে, আমাদের ঘরবাড়ি বেআইনি। এটা কি ন্যায়বিচার?
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার ইসরায়েলকে এসব উচ্ছেদ বন্ধ করার আহ্বান জানালেও তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। বরং বসতি স্থাপন কার্যক্রমের নামে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এসএফ
সূত্রঃআলজাজিরা