তুরস্কে সোমবার ভূমিকম্পের আগে এবং পরে
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বেড়েই চলছে প্রাণহানি। এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। ইউএসজিএস বলছে, নিহতের সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১০ হাজারে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে ৪৭ শতাংশ। ১০ থেকে ১ লাখে নিহত পৌঁছানার শঙ্কা রয়েছে ২০ শতাংশ। খবর সিএনএনের।
এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের পূর্বের ইতিহাস, জনসংখ্যা, কম্পন এবং ভবনের অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এমন ধারণা করেছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাটি। সংস্থাটির কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ যেসব অবকাঠামোয় বসবাস করে তা ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এবারের আঘাতে একশ’ থেকে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
৮৪ বছর পর তুরস্কে আবার ভয়াবহ ভূমিকম্প ॥ তুরস্কে ৮৪ বছর পর সোমবার আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় একযোগে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূকম্পনবিদ স্টিফেন হিকস বলেন, এর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহাণি ঘটে। এ ঘটনার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ শহরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪১ জন নিহত হয়েছিল।