
.
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত মার্কিন ক‚টনীতিকদের সেসব দেশের নির্বাচনের ন্যায্যতা বা অখÐতা সম্পর্কে মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন ক‚টনীতিকদের পাঠানো তারবার্তায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বার্তা পাঠায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘এখন থেকে কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে সেই দেশের মার্কিন দূতাবাস কিংবা ওয়াশিংটন থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা হবে না। যেহেতু কোনো বিদেশি নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করা উপযুক্ত হয়, তাই আমাদের বার্তা সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত। শুধুমাত্র বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানোর ওপর দৃষ্টি দেয়া উচিত।’
এতে আরও বলা হয়, ‘কোনো দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি হয়নি, বৈধ হয়েছে কি হয়নি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোকে সমুন্নত রাখতে পেরেছে কি পারেনি- এসব নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসে কর্মরত ক‚টনীতিকরা আগ বাড়িয়ে আর মন্তব্য করবে না। এ ছাড়া কোনো পক্ষ প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যেতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ক‚টনীতিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
তারবার্তায় মার্কিন প্রশাসন জানায়, ‘নির্বাচন-সম্পর্কিত কোনো বার্তা দিতে হলে তা সচিবের নিজের কাছ থেকে অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছ থেকে আসা উচিত। কিন্তু, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া মার্কিন ক‚টনীতিকদের এই ধরনের বিবৃতি জারি করতে নিষেধ করা হচ্ছে।’
এর আগে গত ১৩ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রদান করা এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেভাবে তাদের নিজেদের ব্যাপারগুলো সামলাতে চায়- পারবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আর ‘নাক গলাবে’ না, বরং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে মনোযোগী হবে।’
প্যানেল মজি