
ছবি : সংগৃহীত
লিভার আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। প্রতিদিনের খাদ্যবর্জ্য, টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণে লিভারের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, চর্বিযুক্ত খাবার ও শরীরচর্চার অভাব ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ অভ্যাসই পারে লিভারকে ডিটক্স রাখতে এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।
✅ চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই ৩টি কার্যকর অভ্যাস—
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা
শারীরিক অনুশীলন না করলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে, যা সরাসরি লিভারে জমা হয়ে ফ্যাটি লিভার তৈরি করে।
প্রতিদিন brisk walking, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম বা সাধারণ ব্যায়াম করলেই লিভারে জমা চর্বি কমে।
এমনকি ওজন কম না-হলেও নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে লিভারের ফাংশন উন্নত হয়।
সকালের শুরু হোক হালকা গরম পানিতে লেবু দিয়ে
লেবুতে থাকা ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার ডিটক্সে দারুণ কাজ করে।
প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া লিভার পরিষ্কার রাখে।
এটি পাচন ক্ষমতা বাড়ায় এবং টক্সিন বের করে দেয়।
টিপস: চাইলে এর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও সামান্য মধু মেশানো যেতে পারে।
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিন
উচ্চমাত্রায় চিনি ও ফ্রুকটোজ জাতীয় খাবার লিভারে চর্বি জমার মূল কারণ।
সফট ড্রিংক, মিষ্টি, বেকারি খাবার, প্যাকেটজাত জুস—এসব এড়িয়ে চললে লিভার দ্রুত সেরে ওঠে।
বদলে খান শাকসবজি, ফলমূল (বিশেষ করে পেঁপে, আপেল, বিটরুট), বাদাম, ডাল ইত্যাদি।
সতর্কতা:
🔸 অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন।
🔸 ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🔸 নিয়মিত লিভার ফাংশন টেস্ট করান।
বিশেষজ্ঞদের মতে:
ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের হেপাটোলজিস্ট ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন,
“লিভার রোগ নিরবে শরীরে বাসা বাঁধে। তাই দৈনন্দিন অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে প্রতিকার। যারা নিয়মিত হাঁটেন, পরিমিত খাবার খান এবং চিনি কমিয়ে আনেন—তাদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।”
ফ্যাটি লিভার কোনো কঠিন রোগ নয়, তবে অবহেলা করলে তা সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারে রূপ নিতে পারে। তাই নিয়মিত সচেতন জীবনযাপনই পারে লিভারকে সুস্থ ও সবল রাখতে। প্রতিদিন মাত্র তিনটি অভ্যাস গড়ে তুললেই আপনি পেতে পারেন সুস্থ একটি জীবন।
Mily