
ছবিঃ সংগৃহীত
লক্ষ লক্ষ মানুষ জানেনই না, তাঁদের রক্তচাপ বেশি
অনেক মানুষই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসারকে তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসকরা একে বলছেন ‘সাইলেন্ট কিলার’ বা ‘নীরব ঘাতক’। কারণ, সময়মতো শনাক্ত না হলে এই রোগ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে চুপিসারে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ভারতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন এবং তাঁদের অনেকেই জানেনই না—তাঁদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
হার্ট অ্যাটাক থেকে কিডনি ফেলিওর পর্যন্ত
উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি বিকল হওয়া এমনকি দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি থাকে। রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তচাপ শুধু একটি রোগ নয়—এটি অনেক বড় রোগের মূলে থাকা একটি বিপজ্জনক অবস্থা।
রক্তচাপ কেন বাড়ে ?
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত নুন খাওয়া, জাঙ্ক ফুড, স্থূলতা, ব্যায়ামের অভাব এবং মানসিক চাপ। ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ, বয়স ও পারিবারিক ইতিহাসও এই ঝুঁকি বাড়ায়।
রক্তচাপ বৃদ্ধির লক্ষণ কী ?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের তেমন স্পষ্ট লক্ষণ থাকে না। তবে খুব বেশি বেড়ে গেলে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে—
-
মাথাব্যথা বা মাথায় ভার
-
মাথা ঘোরা
-
ঝাপসা দৃষ্টি
-
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
-
ক্লান্তি
-
নার্ভাসনেস
-
গুরুতর ক্ষেত্রে, নাক থেকে রক্ত পড়া
এই উপসর্গগুলো নিয়মিত দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কী হতে পারে?
-
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক: রক্তনালির ওপর অতিরিক্ত চাপ হৃদযন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে
-
কিডনি ফেইলিওর: রক্তচাপ বাড়লে কিডনির ক্ষতি হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকল হয়ে যেতে পারে
-
চোখের সমস্যা: রেটিনার ক্ষতি করে, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী করবেন ?
-
প্রতিদিন রক্তচাপ মাপুন
-
নুন ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমান
-
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
-
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন
-
যোগ ও মেডিটেশনে মানসিক চাপ কমান
-
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও ওষুধ বন্ধ করবেন না
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না
যদি রক্তচাপজনিত কোনও লক্ষণ লক্ষ্য করেন, অথবা পারিবারিক ইতিহাস থেকে থাকে, তবে নিয়মিত চেকআপ করান। কারণ, সচেতনতা ও আগাম ব্যবস্থা নিতে পারলে এই 'নীরব ঘাতক'-এর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
ডিসক্লেমার: এই প্রতিবেদনে আলোচিত স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
ইমরান