
ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ফল থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু ডায়াবেটিস মানেই ফল খাওয়া বন্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে, কিছু নির্দিষ্ট ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এখানে চার ধরনের ডায়াবেটিস-বান্ধব ফলের কথা জানানো হলো, যেগুলো আপনার ডায়াবেটিস স্বাস্থ্যকর রাখতেও সহায়ক।
১. বেরি
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেরিগুলোর GI সাধারণত কম, যা রক্তে চিনির মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না। ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাককারেন্ট সহ নানা ধরনের বেরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। ২০২৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেরি শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্য সংস্থার অধ্যাপক ভার্টানেন বলেন, “বেরিতে থাকা পলিফেনলস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা টাইপ ১ ডায়াবেটিসের উন্নয়ন রোধে গুরুত্বপূর্ণ।”
২. কিউই
কিউইও একটি ডায়াবেটিস-বান্ধব ফল। এর GI কম থেকে মাঝারি, ফাইবার ও ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। কিউইর ফাইবার রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে, ফলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে প্রতি সেবনে ১-২টি কিউই খাওয়া উচিত, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এড়াতে।
৩. আপেল
ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও আপেল উপভোগ করতে পারেন। আপেলের GI কম, এবং এতে থাকা পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে ও পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। খোসাসহ আপেল খেলে আরও বেশি ফাইবার পাওয়া যায়, যা হজম ধীর করে এবং চিনির শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। একটি মাঝারি আপেলে প্রায় ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, তাই মাত্রা মেনে খাওয়া প্রয়োজন।
৪. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ডায়াবেটিস-বান্ধব ফল হিসেবে অত্যন্ত উপকারী। এতে কার্বোহাইড্রেট কম এবং স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে অ্যাভোকাডো খেলে পরের সকালে ট্রাইগ্লিসারাইড মেটাবলিজম ভালো হয়। ইলিনয়েস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ব্রিট বার্টন-ফ্রিম্যান বলেন, “অ্যাভোকাডোর পুষ্টিগুণ আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রাতে খাওয়া খাবারের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
আবির