
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় নীরব ঘাতক। এটি স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার প্রধান ঝুঁকি। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকেরা লবণ কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন, তবে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরভিত্তিক ফাংশনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শার্লি কোহ বলছেন, এটি কেবল অর্ধেক সমাধান।
ডা. কোহ জানান, “উচ্চ রক্তচাপের কথা উঠলেই সবাই লবণ কমানোর কথা বলেন। কিন্তু একটা বিষয় মিস করছেন—পটাশিয়াম যোগ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
পটাশিয়াম কীভাবে কাজ করে?
পটাশিয়াম রক্তনালীর প্রাচীর শিথিল করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। ফলে রক্তচাপ কমে এবং হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমে। গবেষণা বলছে, পটাশিয়াম গ্রহণ বাড়ালে শুধু রক্তচাপই কমে না, বরং হৃদরোগ ও স্ট্রোকজনিত মৃত্যুঝুঁকিও হ্রাস পায়।
কোন খাবারে পটাশিয়াম বেশি?
ডা. কোহ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন:
-
অ্যাভোকাডো: পটাশিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর
-
পালং শাক: ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম উভয়ই রয়েছে
-
কলা: ডায়াবেটিক রোগীদের পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ
-
মাশরুম, ডাল ও বিনস: পটাশিয়ামের পাশাপাশি ফাইবারও থাকে
অতিরিক্ত ঘরোয়া টিপস
ডা. কোহ আরও পরামর্শ দিয়েছেন:
-
ধনেপাতা/সেলারি রস: পটাশিয়াম ও প্রাকৃতিক নাইট্রেটে সমৃদ্ধ, যা রক্তনালী শিথিল করে
-
বীটরুট এক্সট্র্যাক্ট: রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায় এবং রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, যা গবেষণায় প্রমাণিতভাবে ৯০ দিন পর্যন্ত সিস্টোলিক রক্তচাপ কমায়
শুধু লবণ কমিয়ে নয়, বরং পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বাড়িয়ে উচ্চ রক্তচাপকে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তচাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা সম্ভব, তবে সব সময়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগোনো উচিত।
Jahan