ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ক্যান্সার নিয়ে ৫টি বড় ভুল ধারণা, যেগুলো আপনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিঃশব্দে!

প্রকাশিত: ০০:০২, ১৭ জুলাই ২০২৫

ক্যান্সার নিয়ে ৫টি বড় ভুল ধারণা, যেগুলো আপনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিঃশব্দে!

সংগৃহীত

ক্যান্সার—এই শব্দটি শুনলেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে বাস্তবতা হলো, ক্যান্সার যতটা ভয়াবহ, ততটাই বিভ্রান্তিকরও। কারণ এর চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে অসংখ্য মিথ বা ভুল ধারণা, যা প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে আড়াল করে দেয় এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।

সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি প্রচলিত ক্যান্সার মিথ ও বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে, যা সবার জানা জরুরি।

ক্যান্সার নিয়ে পাঁচটি বড় ভুল ধারণা
১. ব্যথা নেই মানেই ক্যান্সার নয়?

  • ভুল।
  • অনেক ক্যান্সার, বিশেষত প্রাথমিক পর্যায়ে, ব্যথাহীন হতে পারে। যেমন ত্বক, স্তন বা কলন ক্যান্সারে শুরুতে তেমন কষ্ট হয় না। তাই কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন নজরে আসলেই ডাক্তার দেখানো উচিত।

২. এটি শুধুই বয়স্কদের রোগ?

  • একদমই না
  • আজকাল তরুণদের মধ্যেও ক্যান্সার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কলোরেক্টাল ও স্তন ক্যান্সারের মতো রোগগুলো ৩০-এর কোঠার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

৩. পরিবারে কেউ ক্যান্সারে ভুগেন নি মানেই আপনি নিরাপদ?

  • না।
  • ৯০ শতাংশ ক্যান্সারের পেছনে জিনগত নয়, বরং জীবনধারা, পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ও বাইরের ঝুঁকিই দায়ী।

৪. সুস্থ আছি মানেই ক্যান্সার নেই?

  • প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নীরব ঘাতকের মতো আচরণ করে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং জরুরি, বিশেষত ৩০ পার করার পর।

৫. সব ক্যান্সারের চিকিৎসা এক?

  • আজকাল ক্যান্সারের চিকিৎসা আরও আধুনিক ও রোগী নির্ভর হয়ে উঠেছে টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, পার্সোনালাইজড মেডিসিন এসবের যুগ চলছে। তাই সময়মতো সঠিক ডায়াগনোসিসই বাঁচাতে পারে জীবন।

 করণীয়

  • শরীরে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন বা উপসর্গ (গাঁট, চুলকানি, রক্তপাত, ওজন হ্রাস) অবহেলা নয়।
  • বয়স ৩০ বা তার বেশি হলে নিয়মিত স্ক্রিনিং করুন।
  • টোব্যাকো, অ্যালকোহল ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • ভুল তথ্য নয়, চিকিৎসকের পরামর্শই গ্রহণযোগ্য।

"ক্যান্সার এখন আর মৃত্যু পরোয়ানা নয় সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য রোগ।" আপনার পরিচিত কেউ যদি এই ভুল ধারণাগুলোতে বিশ্বাস করেন, আজই তাকে সচেতন করুন। কারণ সচেতনতাই বাঁচাতে পারে জীবন।

হ্যাপী

×