
ছবি: সংগৃহীত
খাবার শুধু পেট ভরায় না, সঠিক খাবার আমাদের শরীর, মন ও স্বাস্থ্যকেও নিরাময় করতে পারে—এমনটাই জানিয়েছেন হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেঠি। তিনি বলেন, “আপনার রক্তচাপ, রক্তে চিনির মাত্রা, মেজাজ বা ব্যথা—সবই নির্ভর করে আপনি কী খান তার ওপর।”
তিনি ৬টি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ৬টি কার্যকরী খাবার তুলে ধরেছেন, যেগুলো গবেষণাভিত্তিক এবং দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
কোন খাবার কোন রোগে উপকারী?
উচ্চ রক্তচাপ: বিটরুট
বিটে রয়েছে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট, যা রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও রক্তচাপ কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটরুট রস সিস্টোলিক প্রেসার গড়ে ৪-৫ mmHg পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
ডায়াবেটিস: ওটস
ওটসে থাকা ‘বেটা-গ্লুকান’ নামক দ্রবণীয় ফাইবার গ্লুকোজ শোষণ ধীর করে, ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ২০২২ সালের এক গবেষণায় ওটস ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বৃদ্ধিতেও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
উদ্বেগ ও মানসিক চাপ: ক্যামোমাইল চা এবং ব্লুবেরি
-
ক্যামোমাইল চা’র অ্যাপিজেনিন যৌগ মস্তিষ্কে রিল্যাক্স রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উদ্বেগ প্রশমনে সাহায্য করে।
-
ব্লুবেরি মেজাজ উন্নত করে ও বিষণ্ণতা কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভোনয়েডস মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
রক্তশূন্যতা: লাল মাংস বা ডাল
লাল মাংস হিম আয়রনের ভালো উৎস, যা শরীরে সহজে শোষিত হয়। নিরামিষভোজীরা ডাল খেতে পারেন এবং আয়রনের শোষণ বাড়াতে টমেটো বা অন্যান্য ভিটামিন C-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পিঠের ব্যথা: হলুদ (টারমারিক)
হলুদের কুরকুমিন উপাদান প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও ফোলা কমাতে সহায়ক। নিয়মিত সেবনে এটি পিঠের ব্যথা লাঘবে কার্যকর।
আঁখি