
ছবি: সংগৃহীত
ভিটামিন ডি, যাকে বলা হয় ‘সানশাইন ভিটামিন’, আমাদের শরীরের হাড় মজবুত রাখে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সার্বিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। তবুও সারা বিশ্বেই এর ঘাটতি ব্যাপকভাবে দেখা যায়। মার্কিন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. পাল মানিক্কাম সম্প্রতি ভিটামিন ডি নিয়ে চারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা প্রতিটি মানুষের জানা উচিত।
১. প্রতিদিন কত ভিটামিন ডি দরকার?
ডা. মানিক্কাম বলছেন, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬০০ IU (International Units) ভিটামিন ডি যথেষ্ট। এই পরিমাণ হাড়ের শক্তি ও ক্যালসিয়াম শোষণ বজায় রাখতে সহায়ক। সাধারণত সূর্যালোক ও খাবার থেকেই এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
২. রোদে থাকুন—ভিটামিন ডি পাবেন বিনামূল্যে
ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হয় সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে মুখ, হাত ও বাহু ১৫-৩০ মিনিট উন্মুক্ত রাখলে তা কার্যকর হয়। সপ্তাহে ২-৩ দিন এমন রোদে থাকা যথেষ্ট। গবেষণায় বলা হয়, শরীরের ৪০% অংশে রোদ লাগলে ভিটামিন ডি ঘাটতি প্রতিরোধ সম্ভব।
৩. মাছ, ডিম, মাশরুম—ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার
ডা. মানিক্কাম বলেন, এমন খাবার খেতে হবে যা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। যেমন:
- তেলযুক্ত মাছ: সালমন, সারডিন, ম্যাকারেল, হেরিং
- লাল মাংস ও লিভার (গর্ভবতী নারীদের জন্য পরামর্শযোগ্য নয়)
- ডিমের কুসুম
- ফর্টিফায়েড খাবার: কিছু ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল ও মার্জারিন
- রোদে রাখা মাশরুম খান বেশি করে, এতে সামান্য হলেও ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
যাদের খাদ্যাভ্যাসে বা জীবনধারায় রোদ পাওয়া কম, তাদের জন্য পরামর্শক্রমে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তবেই নেওয়া উচিত।
৪. রুটিন টেস্টের দরকার নেই সবার
আপনি যদি নিয়মিত রোদে থাকেন এবং উপযুক্ত খাবার খান, তাহলে সাধারণত আলাদা করে ভিটামিন ডি টেস্টের প্রয়োজন হয় না। ইচ্ছামতো ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ অতিরিক্ত ডোজে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।
মুমু ২