ছবিঃ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি
বেইরুটে এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তেহরান এখন আর নিশ্চিত নয় যে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করতে পারবে কিনা।
এয়ারস্ট্রাইকগুলো ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এ হামলার মাত্র কয়েকদিন পরই ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নির্ধারিত পারমাণবিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই হামলার বিষয়ে অবহিত করেছিলেন।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি বলেন, “তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রকৃত উদ্দেশ্য কখনোই কূটনীতি ছিল না। তারা হয়তো আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল, আর আলোচনাকে তারা শুধু এই হামলার জন্য একটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন আর নিশ্চিত নই, কিভাবে তাদের উপর বিশ্বাস রাখা যাবে। এটা ছিল কূটনীতির সঙ্গে একপ্রকার বিশ্বাসঘাতকতা। যতক্ষণ না এই আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে, আমরা তাদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নই।”
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্ভাবনার আরও একধাপ অবনতি ঘটলো। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বেঁচে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে তিনি একান্ত বৈঠকে এমন একটি হামলার অনুমোদন দেন।
ট্রাম্প পরে বলেন, তিনি আরও কিছু সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা জানাবেন।
বর্তমানে জেনেভায় ইরান, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের কূটনীতিকদের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা চলছে, তবে প্রথম দিনের আলোচনায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
আরাঘচি বলেন, আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে ইসরায়েলকে তার হামলা বন্ধ করতে হবে এবং ইরান পুরোপুরি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়।
“এটা আমাদের বিজ্ঞানীদের একটি অর্জন। এটি জাতীয় গৌরবের বিষয়,”— বলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নোভা
