
ছবি: সংগৃহীত
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ, যার মূল কারণ ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস (Varicella Zoster Virus)। এটি সাধারণত শিশুদের বেশি হয়, তবে বড়দেরও হতে পারে।
চিকেন পক্সের লক্ষণ:
1.হঠাৎ জ্বর (১০০°F – ১০৩°F)
2.মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা
3.ক্লান্তি ও খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া
4.১–২ দিন পর গায়ে লালচে ছোট ফুসকুড়ি ওঠে
5.ফুসকুড়ি প্রথমে মুখ, বুক, পিঠে শুরু হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে
6.কিছু ফুসকুড়ি ফেটে গিয়ে তরল বের হয় ও চুলকায়
7.পরে সেগুলো শুকিয়ে গিয়ে খোসা পড়ে
চিকেনপক্স কিভাবে ছড়ায়?
1. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে (বাতাসে ভাসা ভাইরাসের মাধ্যমে)
2.ফুসকুড়ি ফেটে যাওয়া তরল সংস্পর্শে এলে
3.আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়চোপড় বা তোয়ালে ব্যবহার করলে।
চলুন জেনে নিই চিকেনপক্স হলে করণীয় কি?
১. আক্রান্ত বাচ্চাকে কিছুটা আলাদা রাখা ভালো। কারণ তার শরীর থেকে ভাইরাস অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২. বাচ্চাদের অবশ্যই নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
৩.শরীরে যেনো চুলকানি কম হয় তাই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ দিতে হবে।
৪. বাচ্চাকে সব ধরনের খাবার দিতে হবে যেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫. বাচ্চাকে প্রয়োজনীয় এন্টিভাইরাল ঔষধ দিতে হবে। কারণ এতে বাচ্চা জলদি সুস্থ হবে।
৬. গর্ভবতী মায়ের যদি ডেলিভারির ডেট সন্নিকটে হয় এবং তিনি চিকেন পক্সে আক্রান্ত হন তবে নবজাতককে অবশ্যই নিবিড় পরিচর্যায় রাখতে হবে। কারণ নবজাতকের মধ্যেও চিকেন পক্সের জীবাণু থাকতে পারে।
৭. ১ মাস বয়স বা তারচেয়ে কম বয়সী শিশুর চিকেনপক্স হলে তাকে জলদি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে ও এন্টিভাইরাল ঔষধ দিতে হবে এবং ১০/১২ দিন চিকিৎসায় রাখতে হবে।
বর্তমানে চিকেনপক্স এর প্রতিরোধ হিসেবে এক ধরনের টিকা পাওয়া যায় তা দিলেই মুক্তি পাওয়া যাবে এ ভাইরাস থেকে।
Mily