ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ৪ জুন ২০২৫

পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা

কোরবানির ঈদ বা ঈদুল-আজহা মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করা হয়। কিন্তু কোরবানির পশু কেনার পর তার যত্ন নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা অনেকেই অবহেলা করেন। সঠিক পরিচর্যা ছাড়া পশু দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, ফলে কোরবানির আনন্দ ম্লান হয়ে যায়।
প্রথমেই, পশুকে একটি পরিষ্কার, ছায়াযুক্ত ও বাতাস চলাচলের সুবিধাযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। মাটিতে খড় বা শুকনো ঘাস বিছিয়ে দিলে পশু আরাম পায় এবং ঠান্ডা বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে। ঘরের আশপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে মশা, মাছি বা জীবাণু সংক্রমণ না হয়।
খাদ্য ও পানির সঠিক ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। গরু, মহিষ, ছাগল বা ভেড়াকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানো উচিত। ভুসি, খৈল, ঘাস, খড়, চিটা ধানের খোলসহ পুষ্টিকর খাদ্য দিতে হবে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে, যাতে পশু ডিহাইড্রেশনে না ভোগে।
পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। নতুন পশু আনার পর নিকটস্থ পশু চিকিৎসকের পরামর্শে তার শরীরে কৃমিনাশক ও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যেতে পারে। যদি পশুর জ্বর, ক্ষুধামন্দা, চোখ বা নাক দিয়ে পানি পড়া বা অতিরিক্ত দুর্বলতা দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রতিদিন পশুকে হালকা ব্রাশ বা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা, চোখে-মুখে পানি ছিটানো এবং নখ ও খুরের পরিচর্যা করাও প্রয়োজন। এতে পশু সুস্থ, তাজা ও কর্মক্ষম থাকে। শিশুরা অনেক সময় খেলার ছলে পশুকে বিরক্ত করে, এটি থেকে বিরত রাখা উচিত।
কোরবানির পশুকে আদর-যত্নের সঙ্গে পালন করা শুধু একটি ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, এটি মানবিক কর্তব্যও বটে। এভাবে যত্ন নিয়ে পালন করলে পশু সুস্থ থাকবে এবং ঈদের দিনে তা নিয়মানুযায়ী কোরবানি করা যাবে।

ফেনী, সোনাগাজী থেকে

প্যানেল

×