ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নৈতিক দায়িত্ব ধর্মীয় কর্তব্য

উবাইদুল্লাহ তারানগরী

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ৪ জুন ২০২৫

নৈতিক দায়িত্ব ধর্মীয় কর্তব্য

কোরবানির ঈদ আমাদের জন্য কেবল আনন্দ ও উৎসব নয়, বরং তা আত্মত্যাগ, আনুগত্য এবং মানবিকতার শিক্ষা বহন করে। এই ঈদের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো কোরবানির পশু, যাকে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করি। বিনিময়ে অর্জন করি অশেষ নেকি। কিন্তু দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টিতেও আমরা অনেকেই অবহেলা করি। ইসলাম কোরবানির নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পশুর প্রতি দয়ালু হওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন জবেহ করো, তখন দয়ালু হও।’ (সহিহ মুসলিম)  অর্থাৎ কোরবানির পূর্বেও পশুর প্রতি সদয় হওয়া জরুরি। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, অনেকেই পশুকে রোদে বেঁধে রাখেন, খাবার-পানির ঠিকমতো ব্যবস্থা করেন না। অনেক সময় শিশুরা খেলাচ্ছলে পশুকে আঘাত করে, না খাইয়ে মালা পরিয়ে শুধু ঘোরায়, যা অনুচিত ও গোনাহের কাজ। পশু কেনার আগে থেকেই তার খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রস্তুতি থাকা উচিত। (যাদের পক্ষে যথাযথ যত্ন নেওয়া সম্ভব নয় তাদের জন্য ঈদের আগে আগে কেনাই ভালো।) যেমন: ঘাস, খড়, ভুসি, পানি এবং ছায়াযুক্ত জায়গা। হাট থেকে আনার পর পশুকে বিশ্রাম নিতে দেওয়া, পরিষ্কার রাখা, গায়ে হাত বুলিয়ে স্নেহ প্রদর্শন করা- এসব  ইবাদতেরই অংশ। শুধু কোরবানির সময় নয়, যত দিন পশু আমাদের কাছে থাকবে, তত দিনই তার যত্নের দায়িত্ব আমাদের। আমরা যদি কোরবানির পশুকে ভালোবাসা, সম্মান ও মমতা দেই, তবে সেটি কেবল মানবিক কর্তব্যই নয়, বরং কোরবানির মূল শিক্ষারই বাস্তব অনুশীলন। যারা পশুর যত্নে আন্তরিক হবেন, তাদের কোরবানি ইনশাআল্লাহ আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। কোরবানির পশুর যত্ন নেওয়া মানেই ঈদের প্রকৃত শিক্ষা দয়া ও আত্মত্যাগ সঠিকভাবে গ্রহণ করা।

ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ থেকে

প্যানেল

×