ছবিঃ সংগৃহীত
কানাডার হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন জানায়, ৮০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য। জুন মাসকে ‘স্ট্রোক সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করে সংস্থাটি জানাচ্ছে, সাধারণ কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও স্ট্রোক বিশেষজ্ঞ ডা. নিশিতা সিং বলেন, "স্ট্রোক যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে।" তিনি জানিয়েছেন, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা বেশি দেখা গেলেও তরুণদেরও এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত মনে করা যায় না।
কীভাবে কমাবেন স্ট্রোকের ঝুঁকি?
ডা. সিং বলছেন, "আপনার হৃদয় ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখাই স্ট্রোক প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। এর জন্য প্রথমেই জানতে হবে নিজের ঝুঁকি কতটা এবং কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।" তিনি ৫টি সহজ অভ্যাস গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন যা স্ট্রোক প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
স্ট্রোক প্রতিরোধে ৫টি সহজ জীবনধারা পরিবর্তন:
১. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন
প্রতিদিন ১০,০০০ ধাপ হাঁটার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ২,০০০ বা ৫,০০০ ধাপ দিয়েও শুরু করা যায়। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২. ধূমপান বন্ধ করুন
ধূমপান রক্তকে ঘন করে তোলে এবং ধমনিতে চর্বি জমিয়ে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। ই-সিগারেট ও ভ্যাপিংয়ের ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা প্রযোজ্য।
৩. মদ্যপান কমান বা একেবারে পরিহার করুন
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য পরিমাণে মদ্যপানও হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কানাডার স্বাস্থ্য দফতর সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুটি পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দেয়।
৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজি, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার, লাল মাংস এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত। প্রাকৃতিক ও সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও অর্গানিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সিং।
৫. ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন
এই পরিবর্তনগুলো একদিনে হবে না। ছোট ছোট পদক্ষেপও সময়ের সঙ্গে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
স্ট্রোকের লক্ষণ চিনে নিন: FAST পদ্ধতি
F (Face) – মুখ বাঁকা হয়ে গেছে কি?
A (Arms) – দুটো হাত তুলতে পারছে কি?
S (Speech) – কথা অস্পষ্ট বা জড়িত?
T (Time) – দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
সূত্রঃ yahoo.com
নোভা
