
ছবি: সংগৃহীত
গাজার উপত্যকার অবরুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণের জন্য নীল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জাহাজ ম্যাডলিন। অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিয়েশন (এফএফসি)-এর নেতৃত্বে একজন কাতারিয়া সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করেছে জাহাজটি। এর লক্ষ্য—অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ও শিশু সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া অবরুদ্ধ গাজায়।
তবে এই মানবিক অভিযানের মাঝেই গাজায় প্রবেশ করা থেকে জাহাজটিকে বিরত থাকার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আদেশ অমান্য করে কেউ গাজার নিষিদ্ধ জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। এমনকি সকলকে আটকসহ কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ত।
এদিকে, ম্যাডলিনে থাকা কর্মীদের ওপর সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছেন। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিয়েশন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তেল আবিবে প্রেরিত হয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজারের বেশি ইমেইল, যাতে হামলা না চালানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
জাহাজে থাকা ১২ সদস্যের এই দলে রয়েছেন ২২ বছর বয়সী সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ-ও। তাদের লক্ষ্য, গাজার প্রায় ৯৩ শতাংশ অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছুটা হলেও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। কারণ, ৯০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের কঠোর অবরোধে বন্ধ রয়েছে গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহ।
আশা করা হচ্ছে, ৭ জুন গাজার উপত্যকায় পৌঁছাতে পারে ত্রাণবাহী জাহাজটি। জাহাজটির গতিবিধি নিরীক্ষণে কাজ করছে গবেষণা সংস্থা ফরেন্সিক আর্কিটেকচার, এবং ব্যবহার করা হচ্ছে লাইফ গার্মেন্ট ট্র্যাকার প্রযুক্তি।
গাজার দুঃসহ মানবিক সংকটের এই সময়ে বিশ্বের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ ম্যাডলিন ও তার ১২ জন সাহসী মানবিক যাত্রীর দিকে। তারা কি পারবে অবরোধ ভেঙে গাজার উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছাতে? উত্তর পেতে আর কিছুদিন অপেক্ষা।
ফরিদ