ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেহে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ৫টি সতর্কবার্তা – এবং তা কমানোর ৩টি সহজ উপায়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩১, ৬ জুন ২০২৫

দেহে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ৫টি সতর্কবার্তা – এবং তা কমানোর ৩টি সহজ উপায়

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অনেক মানুষের মধ্যেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স। শুরুতে এটি তেমন লক্ষণ নাও দেখাতে পারে, কিন্তু দীর্ঘদিন ইউরিক অ্যাসিড জমে থাকলে গেঁটেবাত (Gout), কিডনিতে পাথর এবং জয়েন্টে স্থায়ী ক্ষতির মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সুসংবাদ হলো – কিছু সহজ পদক্ষেপ নিলেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ইউরিক অ্যাসিড কী?

ইউরিক অ্যাসিড হল একটি বর্জ্য পদার্থ যা শরীর ‘পিউরিন’ নামক উপাদান ভাঙার সময় তৈরি করে। পিউরিন থাকে কিছু নির্দিষ্ট খাবারে যেমন: লাল মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং মদ্যপানে। সাধারণত এই অ্যাসিড রক্তে মিশে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু শরীর যদি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে বা সঠিকভাবে তা বের করতে না পারে, তবে তা জমে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে।

 

দেহে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার ৫টি লক্ষণ

১. জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলা
বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙুল, গোড়ালি বা হাঁটুতে হঠাৎ ব্যথা ও ফোলাভাব গেঁটেবাতের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

2. জয়েন্টে জড়তা (Stiffness)
সকালবেলা বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর হঠাৎ জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া ইউরিক অ্যাসিড জমে যাওয়ার লক্ষণ।


3. শক্তি কমে যাওয়া বা ক্লান্তিভাব
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে প্রদাহ তৈরি হয়, যা দুর্বলতা বা অলসতার অনুভূতি আনতে পারে।


4. প্রস্রাবে পরিবর্তন
প্রস্রাব গাঢ় রঙের, গন্ধযুক্ত বা ফেনায়িত হলে তা কিডনি স্ট্রেস বা ইউরিক অ্যাসিড অপসারণে সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।


5. চামড়ার নিচে ছোট ছোট গুটির মতো জিনিস (Tophi)
হাতের আঙুল, পায়ের পাতা বা কনুইয়ের মতো জায়গায় ব্যথাহীন শক্ত গুটি তৈরি হলে তা দীর্ঘমেয়াদি ইউরিক অ্যাসিড জমার চিহ্ন হতে পারে।

 

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ৩টি সহজ উপায়

1. আরও বেশি পানি পান করুন
পর্যাপ্ত পানি খেলে কিডনি ভালোভাবে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে পারে। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।


2. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
লাল মাংস, শুক্তি, চিনিযুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। ফলমূল, শাকসবজি, দুধ-দই এবং লো-ফ্যাট খাবার খান।


3. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন
অতিরিক্ত ওজন ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাঁতার শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমায়।

যদি এই লক্ষণগুলোর কোনটি আপনার মধ্যে দেখা দেয় অথবা আপনার পরিবারে গেঁটেবাত বা কিডনির সমস্যা থাকে, তাহলে একবার ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নিন। প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করতে পারলে পানি পান, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Mily

×