ফলের বিক্রি বাড়ছে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে কলার। সহজলভ্যতা, স্বাদ এবং শক্তি জোগানোর ক্ষমতার কারণে কলা বহু মানুষের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিনই থাকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি কোনটিতে থাকে — আর কোন ফলগুলো স্বাস্থ্যসম্মত?
ফলে চিনির মাত্রা:
প্রাকৃতিক শর্করা বা চিনি সব ফলেই থাকে, তবে পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে।
-
আঙুর, আম, কলা ও আনারস – এদের মধ্যে চিনির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।
-
উদাহরণস্বরূপ, একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ১৪ গ্রাম চিনি থাকে।
-
এক কাপ আঙুরে থাকে ২৩ গ্রাম চিনি, এবং এক কাপ কাটা আমে থাকে প্রায় ২২ গ্রাম চিনি।
এই পরিমাণ উচ্চ মনে হলেও, এগুলো প্রাকৃতিক চিনি, যা ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনসহ শরীরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
স্বাস্থ্যকর ফল কোনগুলো?
চিনির পরিমাণ কম কিন্তু পুষ্টিগুণ বেশি এমন ফলগুলোর মধ্যে আছে:
-
বেরি জাতীয় ফল (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি)
-
আপেল (মাঝারি চিনি, ভালো ফাইবার)
-
কমলা
-
পেঁপে ও তরমুজ
এই ফলগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি বেশি এবং চিনির মাত্রা তুলনামূলক কম।
কলা কতটা স্বাস্থ্যকর?
কলা উচ্চ চিনি থাকলেও এটি পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ ও ফাইবারের চমৎকার উৎস। এটি দ্রুত শক্তি দেয়, তাই খেলোয়াড় বা সকালের নাশতায় কলা অনেকের প্রথম পছন্দ। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে পরিমিতভাবে খাওয়াই উত্তম।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ:
ডায়েটিশিয়ানরা মনে করেন, ফল থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং কৃত্রিম চিনি বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে ফলই হোক স্ন্যাকসের উৎস। তবে ফলের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য বজায় রেখে খাওয়া উচিত।
ফলের চিনি নিয়ে দুশ্চিন্তার চেয়ে, কী পরিমাণ ও কী ধরনের ফল খাওয়া হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। কলা একটি ভালো ফল, তবে সুষম খাদ্যাভ্যাসে অন্যান্য কম চিনি যুক্ত ফল রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
Jahan
