
ছবি: সংগৃহীত
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তবে তিনি আলোচনার সম্পূর্ণ বিরোধিতা না করে সমঝোতার সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন।
খামেনির বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে এক চুলও সরে আসবে না। এই ‘লাল দাগ’ তিনি আরও একবার জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন। এই দাবি আগেও বহুবার উচ্চারণ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা, এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ও। তবে মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনায় বিষয়টি কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
খামেনি তার বক্তৃতায় যেটা বলেননি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের সরিয়ে নেননি, বরং বলেন, এই আলোচনা ইরানের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে করে ইরান কিছুটা হলেও চাপসৃষ্টিকারী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য নির্দিষ্ট মাত্রাও উল্লেখ করেননি। বর্তমানে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, যা অস্ত্র-উপযোগী মাত্রা থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি, যিনি উইটকফের সঙ্গে আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, জানিয়েছেন যে, তেহরান শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের জবাব দেবে। বুধবার খামেনির বক্তৃতা, যা তিনি গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিসৌধে দিয়েছেন, সেটিই হয়তো ওই জবাবের ইঙ্গিত বহন করছে।
খামেনি বলেন, “আমাদের যদি ১০০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও থাকে, কিন্তু সমৃদ্ধকরণ না থাকে, তাহলে সেগুলো আমাদের জন্য অকার্যকর। যদি আমাদের সমৃদ্ধকরণ না থাকে, তাহলে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে।”
শহীদ