
ছবি: সংগৃহীত
মুম্বাই শহরের ব্যস্ততম স্থানে, মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে প্রতিদিন দেখা যায় ভিসা প্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন। নিরাপত্তার কড়াকড়ি, প্রবেশের সময়সূচি, এবং কনস্যুলেটের নীতিমালার কারণে ব্যাগ রাখা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। কারণ, কনস্যুলেটের ভিতরে কোনো ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ নিষেধ এবং আশপাশে নেই কোনো সরকারি লকার সেবা।
এই সমস্যাকে রূপ দিয়েছেন সুযোগে এক অটোচালক। তিনি কোনো যাত্রী বহন করেন না—তবু প্রতিদিন আয় করেন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা!
এই অটোচালক তার অটোর ভিতরেই চালু করেছেন এক অভিনব সেবা। তিনি ভিসা প্রার্থীদের ব্যাগ নিরাপদে রেখে দেন নির্ধারিত পারিশ্রমিকে। তার কথায়—"স্যার, ব্যাগ দে দো। সেফ রাখুংগা, মেরা রোজ কা কাম হ্যায়। এক হাজার রুপি চার্জ হ্যায়।"
এই সেবাটি এখন আর কোনো শখ নয়, এটি রীতিমতো একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবসা। প্রতিদিন তিনি ২০-৩০টি ব্যাগ রাখেন, প্রতিটির জন্য ১,০০০ রুপি করে চার্জ করেন। এতে করে দিনে আয় হয় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার রুপি পর্যন্ত।
এই পুরো ব্যবসাটি গড়ে উঠেছে মুখের প্রচার এবং মানুষের বিশ্বাসের উপর। কোনো লিখিত চুক্তি নেই, নেই কোনো রশিদ। অনেকেই এটিকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন এর আইনি বৈধতা ও নিরাপত্তা নিয়ে।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো বড় অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। বরং এই সেবা প্রতি দিন নতুন নতুন মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ব্যবহারকারীরাও এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন। একে কেউ বলছেন “স্ট্রিট স্মার্ট বিজনেস”, আবার কেউ বলছেন “বাস্তবিক বুদ্ধির প্রয়োগ”।
মুমু