
আপনি কি প্রতিদিন খাবারের পর কুমড়োর বীজ ফেলে দেন? যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে আপনি হয়তো জানেন না এই ছোট্ট বীজটিতে কত বিস্ময়কর উপকারিতা লুকিয়ে আছে। পুষ্টিবিদরা কুমড়োর বিচিকে ‘সুপারফুড’ বলেই চিহ্নিত করেছেন। প্রতিদিন মাত্র এক চা চামচ কুমড়োর বিচি খেলে শরীর পেতে পারে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।
সাধারণ কুমড়ার বিচি, যা অনেকেই না খেয়ে ফেলে দেন। অথচ এই ছোট্ট বীজেই লুকিয়ে আছে সুপারফুডের অসাধারণ গুণাগুণ।
পুষ্টিবিদদের মতে, মিষ্টি কুমড়ার বীজ একটি নিরাপদ উদ্ভিজ্য প্রোটিনের উৎস।মাত্র এক মুঠো কুমড়োর বিচিতে থাকে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, ৩৭ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ১.৭ গ্রাম ফাইবার, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায় এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
কুমড়োর বিচিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
এতে থাকা ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যাসিড শরীরে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে মানসিক চাপ কমে, ঘুমের মান বাড়ে।
জিংক স্নায়ুতন্ত্র স্থির রাখতে সহায়তা করে।
কুমড়োর বিচির ফাইবার ধীরে হজম হয়, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে বাড়ে।এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়।
এই বিচিতে থাকা জিংক, আয়রন, প্রোটিন ও ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে, দেহে শক্তি জোগাতে, হাড় মজবুত করতে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।
এই ছোট্ট বীজটির এমন অসাধারণ গুণ দেখে এখন আর ফেলবেন তো না নিশ্চয়ই? প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বিচি রাখলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনি বাড়বে ভেতরের শক্তি ও আত্মবিশ্বাস।
আফরোজা