
ছবি: সংগৃহীত
সন্তানের জন্মের পর মা-ই হয়ে ওঠেন তার একমাত্র পুষ্টির উৎস। কারণ, মাতৃদুগ্ধই সদ্যোজাতের প্রথম ও প্রধান খাবার। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের খাদ্যাভ্যাস হতে হবে যথেষ্ট পুষ্টিকর ও সুষম। নতুন এক পরামর্শে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন—সঠিক খাবার খেলে মায়ের শরীরে দুধের পরিমাণ বাড়ে, যা সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
সবুজ শাক
অনেক মায়ের দুধ কম হওয়ায় সন্তান পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এই সমস্যা সমাধানে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে বেশি করে সবুজ শাক-সবজি। পালং শাক, ব্রকোলির মতো শাকে থাকা ফাইটোইস্ট্রোজেন নামক প্রাকৃতিক যৌগ দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
বীজ
চিয়া বীজ, তিসি বীজ ও কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, জিংক ও ক্যালসিয়াম। এসব উপাদান শুধু মায়ের শরীরকে শক্তিশালী করে না, বরং সন্তানেরও স্বাস্থ্যকর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মায়ের দুগ্ধের মানও উন্নত করে।
মাংস
মা যদি প্রাণিজ আহারে অভ্যস্ত হন, তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন মুরগি বা গরুর মাংস। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ ও কোলিন—দুটি উপাদানই মাতৃদুগ্ধের উৎপাদন এবং সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় পর্যাপ্ত ক্যালরি ও প্রোটিন পাওয়া খুব জরুরি, যা মাংস থেকে সহজেই পাওয়া যায়।
মাশরুম
যারা নিরামিষাশী, তারা মাশরুমকে রাখতে পারেন প্রোটিনের প্রধান উৎস হিসেবে। এতে রয়েছে সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি৬, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনে সাহায্য করে। তাই মাশরুমও হতে পারে স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য এক দুর্দান্ত খাবার।
নবজাতকের সুস্থতা এবং সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে মায়ের খাদ্যতালিকা হতে হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর। সবুজ শাক থেকে শুরু করে বীজ, মাংস কিংবা মাশরুম—প্রতিটি খাবারই মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সন্তানের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই মায়ের খাবারে সচেতন হোন।
মুমু