ডা. আব্দুল আহাদ।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসকদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ অন্যান্য সংকটের সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় আশ্বাস পাওয়া গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের সব হাসপাতালে স্বাভাবিক নিয়মে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তবে খুব শিগগীরই মিডিয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ও স্বাস্থ্য পুলিশের বিষয়ে উপদেষ্টার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডা. আব্দুল আহাদ।
তিনি বলেন, ‘পরিচালক মহোদয়ের আশ্বাসে আগামীকাল থেকে সারা দেশের হাসপাতালে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে হাসপাতাল। তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরপাত্তার জন্য স্বাস্থ্য পুলিশের বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে ঘোষনা দেবে বলে আসা করি। তবে তিনি বলেছেন একটু সময় দিতে হবে।’
এর আগে গত সোমবারের ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৮ থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে ১০টা থেকে চিকিৎসকরা চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী দিপ্ত। গাইবান্ধা সদর উপজেলার শহিদুল ইসলামের ছেলে দিপ্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকতেন। ওইদিন রাতেই কুর্মিটোলা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুত্বন আহত হন তিনি। পথচারী এক শিক্ষার্থী দিপ্তকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসে। ভর্তি করার পর শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এরই জেরে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের উপর হামলা চালায় কিছু দুর্বৃত্ত।
এর প্রতিবাদে রবি ও সোমবার নিয়মিত চিকিৎসা সেবাদান থেকে বিরত থাকেন চিকিৎসকরা। ঘোষণা করেন কমপ্লিট শাটডাউনেরও। এ সময়টায় দেশের প্রায় সবগুলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে মঙ্গলবার কিছুটা স্বাভাবিক হয় চিকিৎসা কার্যক্রম। যা আজ থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।
এম হাসান