ওষুধ
চারটি বিরল রোগের চিকিৎসার খরচ ১০০ গুণ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের ওষুধ কোম্পানিগুলোর তৈরি কয়েকটি ওষুধ। ওষুধগুলো দেশটির সরকারি সংস্থার সহায়তা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিরল রোগগুলো সবই জিনগত। আর এসব রোগের বেশিরভাগ রোগীই শিশুর।
এই চার রোগের মধ্যে অন্যতম টাইরোসিনেমিয়া টাইপ ১। এই রোগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচ লাগত বছরে দুই দশমিক দুই কোটি থেকে ছয় দশমিক পাঁচ কোটি রুপি। বর্তমানে সেই খরচ কমে হয়েছে আড়াই লাখ রুপি। এই রোগের ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না হলে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ রোগের ক্ষেত্রে যে ওষুধটি ব্যবহার করা হচ্ছে তার নাম নাইটিসিনোন।
বাকি তিন বিরল রোগ হল গাউচারস ডিজিজ, যাতে লিভার বড় হয়ে যায়, শরীরের হাড়ে বাড়ে ব্যাথা। এছাড়া আছে উইলসনস ডিজিজ, যার জেরে লিভারের সমস্য়া হয় মূলত, মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। আর চতুর্থটি হল লেনক্স গ্যাসটাউট সিনড্রোম।
গাউচারস ডিজিজের ক্ষেত্রে বছরে ১ দশমিক ৮ থেকে ৩ দশমিক ৬ কোটি রুপি পর্যন্ত খরচ হত। ভারতের তৈরি হওয়া এলিগ্লুস্ট্যাট নামের ক্যাপসুলটি ব্যবহারের কারণে সেই খরচ কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৬ লাখ রুপি। উইলসনস ডিজিজের ক্ষেত্রেও বছরে দুই দশমিক দুই কোটি থেকে খরচ কমে হয়েছে ২ দশমিক ২ লাখ রুপি। এ রোগের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রিয়েনটাইন ক্যাপসুল নামের একটি ক্যাপসুল। এছাড়া লেনক্স গ্যাসটাউট সিনড্রোমের ক্ষেত্রেও খরচ ৭ দশমিক ৩৪ লাখ টাকা থেকে কমে দেড় লাখ রুপি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্যানাবিডিওল নামের একটি ওষুধ।
জানা গেছে, এক বছর আগে ভারতের জেনারা ফার্মা, লরাস ল্যাবস লিমিটেড, এমএসএন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আকুমস ড্রাগস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সরকারি সহায়তা নিয়ে ১৩ ধরনের বিরল রোগের ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করে। এর মধ্যে চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। বাকি রোগগুলোর ওষুধ শিগগিরই তৈরি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এস