ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লাইসেন্সহীন ওষুধ উৎপাদন-মজুদ-ভেজালে কঠোর সাজা

প্রকাশিত: ২০:২৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

লাইসেন্সহীন ওষুধ উৎপাদন-মজুদ-ভেজালে কঠোর সাজা

ওষুধ

লাইসেন্সহীন ওষুধ উৎপাদনে ১০ বছর সাজা। মজুদ কিংবা ভেজাল করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওষুধ আইন ২০২৩’র খসড়ার আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগে আইনটি ছিল ওষুধ নিয়ে। এই আইনে কসমেটিক্সকে ফোকাস করা হয়েছে। আইনের আওতায় কিছু কিছু ওষুধের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, বর্তমানে এ বিষয়ে আমাদের দুটি আইন আছে। একটি হলো ‘দ‌্য ড্রাগস অ‌্যাক্ট, ১৯৪০’। আরেকটি ‘দ‌্য ড্রাগস কন্ট্রোল অর্ডিন‌্যান্স, ১৯৮২’। এ দুটোকে এক করে এবং এর সঙ্গে আরও নতুন কিছু যুক্ত করে আইনটি করা হয়েছে। এর আগে খসড়া আইনটি ২০২২ সালের ১১ আগস্ট নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেটি আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে আজকে অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনগুলোয় শুধুমাত্র ওষুধকে ফোকাস করা হয়েছিল, নতুন খসড়ায় কসমেটিকসকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ আইনের নাম হবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩’। এ নামেই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আরও জানান, নতুন আইনের মাধ্যমে কসমেটিকসের উৎপাদন, বিতরণ এবং মজুদ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তাদের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। খসড়া আইনে ৩০টি অপরাধ চিহ্নিত ও সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এজন‌্য আলাদা আলাদা শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সে উল্লেখিত শর্ত না মেনে ওষুধ উৎপাদন করলে; নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রি, বিতরণ, প্রদর্শন করলে; সরকারি ওষুধ বিক্রি বা বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত বা প্রদর্শন করলে; লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্ত না মেনে ওষুধ আমদানি করলে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছিলেন, খসড়া আইনটিতে ওষুধ প্রশাসন কেমন হবে, ওষুধ বিক্রি ও আমদানির লাইসেন্স দেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তার শাস্তি কী হবে, সেটাও খসড়া আইনে ছিল।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×