ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন প্রকল্প ‘অতিথি’

প্রকাশিত: ১৫:২২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৫:২৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন প্রকল্প ‘অতিথি’

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়গুলোকে বিশেষগুরুত্ব দিয়ে ব্র্যাক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) উদ্যোগে কমিউনিটি ভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন প্রসারের লক্ষ্যে “অতিথি” নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি এই উদ্যোগ দেশের পর্যটন খাতের দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়নেও সহায়ক হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তাদের সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দায়িত্বশীল পর্যটনের বিষয়গুলো প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ‘অতিথি’।

‘অতিথি’ প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে মানুষের সামনে তুলে ধরা, শহুরে প্রজন্মকে তাদের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হওয়াসত্ত্বেও স্বল্প পরিচিত পর্যটন এলাকাগুলোকে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নজরে নিয়ে আসা।

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। 

বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহিন নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন সাধন এই সমঝোতা স্মারকের অন্যতম উদ্দেশ্য।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহিন বাংলাদেশে পর্যটন খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো পর্যটনের এমন একটি মডেল তৈরি করা যা স্থানীয় মানুষকে সহায়তার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব ও কসই পর্যটন নিশ্চিত করবে। এটি শুধুমাত্র ট্যুরঅপারেটর পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সম্পৃক্ত করা হবে এবং এই পর্যটনের লভ্যাংশের ভাগ তারাও পাবে। এই উদ্যোগে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের যুক্ত হওয়াকে স্বাগত জানিয়ে তিনি “অতিথি’ প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।’ 

বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, ‘আমরা ২০২৪ থেকে ২০৪০ পর্যন্ত বাংলাদেশে পর্যটনের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। এই পরিকল্পনার একটি মূল দিক হল কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনের প্রচার ও প্রসার। মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে দেশের পাঁচটি স্থানে এটি নিয়ে কাজ চলছে।’

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিটিবির পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন- সালেহা বিন তেসিরাজ, পরিচালক- প্রশাসন ও অর্থ (যুগ্মসচিব); মহিবুলইসলাম, উপ-পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) এবং মো. মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা)। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ; ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ড. মো. জাফর উদ্দীন; মৌটুসী বিশ্বাস, কনসালটেন্ট, অতিথি প্রকল্প; তাপস কুমার রায়, সিনিয়র ম্যানেজার, এডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ; কাজী প্রত্যয় আহমেদ, সিনিয়র ম্যানেজার; তিথী দেব, রিসার্চ এন্ড ইনসাইটস স্পেশালিস্ট, সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব।  

এম হাসান

×