ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শেখ হাসিনার জন্মজয়ন্তীর আয়োজন ‘সবার আপনজন’

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ৪ অক্টোবর ২০২২

শেখ হাসিনার জন্মজয়ন্তীর আয়োজন ‘সবার আপনজন’

শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে সবার আপনজন শীর্ষক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শামা রহমান

শরতের বিকেলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সুরকে সঙ্গী করে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মঞ্চে আসেন শ্রোতানন্দিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শামা রহমান। মাধুর্যময় কণ্ঠের আশ্রয়ে গেয়ে শোনান- আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে/আমার মুক্তি আলোয় আলোয়/ আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে...। সূচনা সঙ্গীতটি পরিবেশনের পর প্রদর্শিত হয় প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে উঠে আসে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কথা।

পর্দায় ভেসে বেড়ায় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুত কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়মূলক কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে চলার চিত্র। সেই সঙ্গে উচ্চারিত হয় এই পরিবর্তনের নেতৃত্বদানকারী সেই মহীয়সী নারী শেখ হাসিনার কথা। গান ও প্রামাণ্যচিত্রের সঙ্গে কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে সজ্জিত ছিল এ আয়োজনটি। স্বরচিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তির সঙ্গে ছিল মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে নয়নজুড়ানোর নৃত্য পরিবেশনা।

আর এভাবেই শিল্পের বর্ণিলতায় উদ্যাপিত হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন। সবার আপনজন শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’। মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে জন্মজয়ন্তীর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বরচিত কবিতাপাঠের আসর অনুষ্ঠানে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।  শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে রচিত ‘১৭ই মে ১৯৮১’ শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন কবি তারিক সুজাত। পদ্মা সেতু ও বাঙালীর সম্মান শিরোনামের দুটি কবিতা পাঠ করেন কবি কামাল চৌধুরী। জন্মোৎসব শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এছাড়াও কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি নাসির আহমেদ। কবিতার দোলায়িত ছন্দে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

সঙ্গীত পর্বে শারমিন সাথী ময়না গেয়েছেন ‘তুমি যে হে প্রাণের বধূ’ এবং ‘জয় হোক জয় হোক’ শিরোনামের গান। বুলবুল ইসলাম শুনিয়েছেন ‘স্বার্থ জনম আমার’ ও ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস’ শীর্ষক সঙ্গীত। শামা রহমানের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে ‘আমি মারে সাগর পাড়ি দেব’।
লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও ¯œাতা শাহরিনের পরিচালনায় শুভেচ্ছা ও ভালবাসা শিরোনামের নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য।  
শেখ হাসিনাকে নিবেদিত কথনে অংশ নেন ইতিহাসবিদ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধাপক মুনতাসীর মামুন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং উত্তরণের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. নূহ-উল-আলম লেনিন।   
আলোচনায় মুনতাসীর মামুন বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তবে তার সবচেয়ে বড় অর্জনটি হলো তিনি বাংলাদেশের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত হওয়া দেশকে পুনরায় সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন। বিরুদ্ধ স্রোতের বিপরীতে সাহসী ভূমিকায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছেন। কারণ একসময় এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে- এটাই ভাবা যেত না।

পাশাপাশি বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূল নীতি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন। এসব কারণেই নতুন প্রজন্মসহ পুরো জাতি তাকে মনে রাখবে। তিনি একইসঙ্গে ধার্মিক এবং অসাম্প্রদায়িক। এটাও তার চরিত্রের বড় গুণ। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই।       
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা।

×