ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভরা মৌসুমেও মিলছে না যাত্রাপালার অনুমতি

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ২০ নভেম্বর ২০২২

ভরা মৌসুমেও মিলছে না যাত্রাপালার অনুমতি

.

 অবাধে যাত্রাপালার অনুমতি প্রদানের জন্য দাবি জানালো বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদ, যাত্রা মালিক ও শিল্পীরা। এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন হয় রিপোর্টার্স ইউনিটে রবিবার বিকেলে। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে, কার্যকরী সভাপতি বরুন কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আলীম, যুগ্ম সম্পাদক এম আলম লাবলু ও এস বি বিপ্লব। যাত্রা মালিক ও শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন এম এ মান্নান, গোলাম মোস্তফা, সাবের শিকদার শামীম, কাজী রফিকুল ইসলাম, খন্দকার শামীম, নজরুল ইসলাম মাদবর, আবদুল হক, মনির, নুরুল ইসলাম বন্ধু, আবুল মোমেন, জুলফিকার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে একদিনের জন্যও যাত্রা অভিনয় বন্ধ থাকেনি। বরং এমনও ঘটেছে, সাত দিনের অনুমতির জন্য দরখাস্ত দিলে প্রশাসন লিখে দিত পনের দিন দেওয়া হলো। এই সরকারের আমলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নেতৃত্বে যাত্রার উন্নয়নে বেশকিছু ভালো কাজ আমরা দেখলাম। এ যাবৎ প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রা দল নিবন্ধিত হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি থেকে নিবন্ধিত যাত্রার দলগুলোর দুই একটি ছাড়া অন্যদলগুলো কোথাও যাত্রা করার অনুমতি পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আর এক শ্রেণির অসাধু যাত্রাপালা প্রদর্শক ও বিকৃতরুচির দল মালিকদের অশ্লীল কর্মকান্ডের কারণে যাত্রা আজ নাগরিক সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। যাত্রা অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদানে দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের হাতে। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না। অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করে দিনের পর দিন মাসের পর মাস প্রকৃত যাত্রাদল মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। প্রশাসন বলছে যাত্রার নামে জুয়া হাউজি হয়, অশ্লীল নাচগান হয়। যাত্রা মালিকরা বলছেন, সব দলকে একই পাল্লায় মাপা যাবে না। ভালো দলের ভালো পালাও আছে। অনুষ্ঠানের অনুমতি দিন। তদন্ত করুন। খারাপ কিছু দেখলেই বন্ধ করে দিন।
আমরা বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, নীতি নির্ধারক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রত্যেক কর্তৃৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, যাত্রাশিল্পকে ধ্বংস করবেন না। বাঙালী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই মাধ্যমকে আবার জাগিয়ে তুলুন। অবাধে যাত্রাপালা মঞ্চায়নের অনুমতি দিন। গরিব দুঃখী যাত্রাশিল্পীরা খেয়ে পরে বাঁচুক।

 

 

×