
কোথাও যেতে চাচ্ছেন না সমু চৌধুরী, ঘটনাস্থলে পুলিশ-সেনাবাহিনী মাজারে অভিনেতা সমু চৌধুরীকে ঘিরে রেখেছে উৎসুক জনতা ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাজারের বট গাছের নিচে গামছা পরে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার পর জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে চেষ্টা করেও থানায় নিতে পারছে না পুলিশ। এ অবস্থায় তাকে দেখতে লোকজন ভিড় জমিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৯টার দিকে এ তথ্য জানান পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারের পাশে গাব গাছের নিচে গামছা পরে ঘুমন্ত অবস্থায় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পাওয়া গেছে এমন তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সমু চৌধুরীর এক ভাই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে চাকরি করেন। তিনি সমু চৌধুরীকে নিয়ে যেতে এখনো এই এলাকায় আসেননি। এছাড়া সমু চৌধুরীর খোঁজ পেয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের কয়েকজন অভিনেতাও বিকেলে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছেন। তারাও এখনো পৌঁছাননি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সমু চৌধুরীকে বুঝিয়ে থানায় নিতে চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তিনি যেতে রাজি হচ্ছেন না।’
ওসি বলেন, ‘সমু চৌধুরী এখনো মাজারের পাশেই অবস্থান করছেন। তাকে দেখতে লোকজন ভিড় জমিয়েছেন। তাই পুলিশসহ সেনাবাহিনীও এখানে অবস্থান করছে।’ অভিনয়শিল্পী সংঘের অনুষ্ঠান সম্পাদক এম এ সালাম সুমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একটি গাড়িতে করে অভিনয়শিল্পী সংঘের কয়েক জনকে বিকেলেই আমরা পাঠিয়েছি। হয়তো তারা ময়মনসিংহের কাছাকাছি পর্যন্ত চলে এসেছেন
এর আগে বিকেলে উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারের পাশে বট গাছের নিচে গামছা পরে মাদুরে সমু চৌধুরীর শুয়ে থাকায় ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে প্রথমে খালি গায়ে গামছা পরা অবস্থায় সমু চৌধুরীকে দেখা যায়। পরে অবশ্য ট্রাউজার ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সামনে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মাজারে এসেছি। খুবই সুন্দর জায়গা। মানুষগুলো খুব ভালো। এখানে এত সহজ-সরল মানুষের দেখা পাওয়া যায়। এমন আরও অনেক কথাবার্তা বলে হেসে হাততালি দেন সমু চৌধুরী। সবার ধারণা, সমু চৌধুরী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে একা একা মাজারে চলে এসেছেন।’
নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন নাটকে দর্শক মাতিয়েছিলেন এই মঞ্চ অভিনেতা। মাঝে অভিমান করে অভিনয় ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে তিনি। পরে শিল্পী ঐক্য জোটের মাধ্যমে আবারও অভিনয়ে ফিরে আসেন।
রিফাত