
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ রেইনড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৩৩তম আসরে নির্বাচিত হয়েছে দুইটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। নির্বাচিত চলচ্চিত্র দুটি হলো নুহাশ হুমায়ূনের “দুই ষ” এবং মাকসুদ হোসেনের “সাবা”।
নুহাশ হুমায়ূন এর আগে ২০২৩ সালের রেইনড্যান্স ফেস্টিভ্যালে তার চর্কি অরিজিনাল অ্যান্থলজি সিরিজ “পেট কাটা ষ”-এর জন্য বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফিচার বিভাগে জুরি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছিলেন। সেই সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি “দুই ষ”, যা গত বছর চর্কিতে মুক্তি পেয়েছিল, এবার রেইনড্যান্সে মনোনয়ন পেয়েছে।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে নুহাশ জানান, “আমি কিছুদিন আগেই মনোনয়নের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে একই সময় আরও কয়েকটি উৎসব থাকায় নিশ্চিত নই যে যুক্তরাজ্যে গিয়ে উপস্থিত হতে পারবো কিনা। তবে মনোনয়নটাই আনন্দের।”
অন্যদিকে, মাকসুদ হোসেন পরিচালিত “সাবা” চলচ্চিত্রটি ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ডের জন্যও মনোনয়ন পেয়েছে। এটি তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। মাকসুদ বলেন, “সাবার যাত্রা ছিল দীর্ঘ। রেইনড্যান্সে মনোনয়ন পাওয়া সত্যিই আনন্দের। আমাদের চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত আরও কিছু শক্তিশালী ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে — এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নুহাশ জানান, “দুই শ” মূলত আধুনিক সমাজে বিরাজমান ভয়ভীতিকে উপজীব্য করে নির্মিত। “আজকাল অলৌকিক ভয় নয়, বরং সামাজিক ভয়ের মাত্রা অনেক বেশি। এসব ভয় মানুষের মনোজগতকে বহুদিন ধরে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সেই দিকটিই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”
চলচ্চিত্রটিতে চারটি ভিন্ন গল্প রয়েছে এবং এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, মোশাররফ করিম, সুমাইয়া শিমু, কাজী নওশাবা আহমেদসহ অনেকে।
অন্যদিকে, “সাবা” একটি সড়ক দুর্ঘটনার পরবর্তী প্রভাবকে কেন্দ্র করে নির্মিত। দুই দশক আগে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১২ বছরের এক মেয়ে এবং তার হুইলচেয়ারে আবদ্ধ মা—এই দুই চরিত্রের জীবনের পরিবর্তনই চলচ্চিত্রটির মূল বিষয়বস্তু। মেয়েটি মানসিক ট্রমায় ভোগে এবং মায়ের দৈনন্দিন জীবনে আসে বড় ধরনের পরিবর্তন। এই বাস্তবতা নিয়েই ছবির কাহিনি এগিয়েছে।
নোভা