ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দৃষ্টিনন্দন কুতুবদিয়ার বাতিঘর একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২২ মে ২০২৫

দৃষ্টিনন্দন কুতুবদিয়ার বাতিঘর একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে সমুদ্রপথে যাতায়াতকারী নৌযান ও জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বাতিঘর স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার বাতিঘরটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন ও নৌচলাচলের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশক হিসেবে পরিচিত।

ইতিহাস: কুতুবদিয়া বাতিঘরের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ব্রিটিশ শাসনামলে  প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলে একটি বাতিঘর স্থাপন করা হয়। এটি ছিল একটি ছোট আকারের পাথরের নির্মিত বাতিঘর, যার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গোপসাগরগামী জাহাজগুলিকে রাতের আঁধারে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা। পরবর্তী সময়ে এটি সমুদ্র ক্ষয়ের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়।

বর্তমান বাতিঘরের স্থাপন: পুরাতন বাতিঘরটি ধ্বংস হওয়ার পর, প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখে নতুনভাবে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি বাতিঘর নির্মাণ করা হয়। নতুন বাতিঘরটি উচ্চতা ও শক্তিশালী আলোক ব্যবস্থা দ্বারা সজ্জিত, যা অনেক দূর থেকে দৃশ্যমান। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও শিপিং কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়।

বাতিঘরের প্রয়োজনীয়তা:

১. নৌযান নিরাপত্তা: গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী নৌযান ও জাহাজগুলোকে দিক নির্দেশনা দিতে বাতিঘর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. জাহাজ দুর্ঘটনা রোধ: খারাপ আবহাওয়ায় বা রাতের অন্ধকারে জাহাজগুলোকে নিরাপদে চলাচলের পথ দেখায়।

৩. অঞ্চলের পরিচিতি: কুতুবদিয়া বাতিঘর শুধু একটি দিকনির্দেশক নয়, এটি অঞ্চলটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ।

৪. পর্যটন সম্ভাবনা: এই বাতিঘর অনেক পর্যটকদের আকর্ষণ করে, যার ফলে কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নও সাধিত হয় 

 সমুদ্র ক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে পুরাতন বাতিঘরটি কার্যকারিতা হারায়। আধুনিক নৌযানগুলোর জন্য উন্নততর আলোক ও সংকেত প্রযুক্তির বাতিঘর দরকার ছিল।

তাই সরকারের উদ্যোগে নতুন বাতিঘর নির্মাণ করা হয়, যা আরও টেকসই, কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব।কুতুবদিয়ার বাতিঘর শুধুমাত্র একটি নাবিক সহায়ক অবকাঠামো নয়, এটি আমাদের উপকূলীয় নিরাপত্তা ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ইতিহাসের সাক্ষী এই বাতিঘর আধুনিকায়নের মাধ্যমে আরও বহু বছর সেবা দিতে সক্ষম হবে।

আলীম

×