
চিত্রনায়িকা পপি
চিত্রনায়িকা পপি যে সময়টাতে সিনেমাতে দিন-রাত শ্রম দিয়ে কাজ করতেন সেই সময়টাতে তার একটাই স্বপ্ন ছিল, আর তা হলো ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রের পাবর্তী চরিত্রে অভিনয় করার। কারণ বাংলাদেশে ‘দেবদাস’ সিনেমাটি দুইবার নির্মিত হয়েছে। সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বুলবুল আহমেদ ও শাকিব খান। আবার পাবর্তী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কবরী ও অপু বিশ^াস। পপির প্রবল ইচ্ছা ছিল পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করার।
কিন্তু ‘দেবদাস’ সিনেমাতেই তার অভিনয় করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে আজ থেকে কয়েক বছর আগে পপির পার্বতী হওয়ার স্বপ্নপূরণে এগিয়ে আসেন নবীন চলচ্চিত্র পরিচালক আরিফুর জামান আরিফ। তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ চলচ্চিত্রে পপিকে পার্বতী চরিত্রে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। পপি পার্বতী চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। বেশ কয়েকদিন তিনি এই চরিত্রে নিজেকে মনোনিবেশ রেখে পার্বতী চরিত্রে ক্যামেরার সামনে নিজেকে তুলেও ধরেছিলেন একজন সত্যিকারের পার্বতীরূপে। অভিনয় করতে করতে পার্বতীতে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
নিজের মেধার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগিয়ে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ পপির কারণেই এই সিনেমার কাজ আর হয়ে ওঠেনি। নির্মাতা অনেক চেষ্টা করেও পপির সঙ্গে দেখা করার আর সুযোগ পাননি। থেমে যায় পপির পার্বতী রূপে দর্শকের সামনে আসার সুযোগ। সেই সময় পপি বলেছিলেন, পার্বতী আমার স্বপ্নের চরিত্র। এর আগে আমাদের দেশে ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে চাষী নজরুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় প্রথম কবরী ম্যাডাম অভিনয় করেছিলেন। কবরী ম্যাডামের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম।
তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল আমার কোনো একদিন যদি পার্বতী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাই তা হলে নিজের সবটুকু উজাড় করেই অভিনয় করব। শেষতক সেই সুযোগ আমার জীবনে এলো, আমিও মন দিয়ে অভিনয় করেছি। জানি না তা দর্শকের কতটুকু ভালো লাগবে। কিন্তু সিনেমাটিই আর শেষ হলো না, পপিরও পার্বতী রূপে দর্শকের মনে ঠাঁই নেওয়া হলো না।
‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’র কাহিনী সংলাপ লিখেছেন হাসিম আসকার মো. করিম দাদ। চিত্রনাট্য করেছিলেন পরিচালক নিজেই। উল্লেখ্য, এই চলচ্চিত্রে দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফেরদৌস। এদিকে শীঘ্রই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে পপি অভিনীত সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ সিনেমাটি। এতে তার বিপরীতে আছেন আমিন খান ও ইমন।