ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় উদীয়মান শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

শিল্পকলায় উদীয়মান শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা

শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে গণজাগরণের সংগীত উৎসবে সমবেত পরিবেশনা

গান নিয়ে চলছে বৃহৎ পরিসরের এক আয়োজন। সেই সংগীতাসরে অংশ নিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তের পাঁচ শতাধিক কণ্ঠশিল্পী। উপস্থাপিত হচ্ছে  একক ও সম্মেলক কণ্ঠের পরিবেশনা। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত অবধি শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে বইছে উদীয়মান এই শিল্পীদের সুরের স্রোতধারা। শ্রোতারা নিবিষ্ট চিত্তে শুনছেন সেসব গান। এভাবেই মুগ্ধতার ছবি এঁকে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণজাগরণের সংগীত উৎসব। ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে  পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে  অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব।
ছয় দিনব্যাপী এই সংগীতায়োজনের তৃতীয় দিন ছিল  সোমবার।  দেশাত্মবোধক গানের সুরে এদিনের উৎসবের সূচনা হয়।  স্বদেশের বন্দনায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গীতবাণীকে কণ্ঠে তুলে নেন একঝাঁক শিল্পী। সকলের সম্মিলিত স্বরে উচ্চারিত হয়Ñ  ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা/তাহার মাঝে আছে দেশ একÑসকল দেশের সেরা ...। পরের পরিবেশনায় রাগিনী নামকরণ করা এই দলের শিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় গেয়ে শোনান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’। এরপর একক কণ্ঠে জেবুন্নেছা সরকার নিঝুম পরিবেশন করেন ‘আমি খুঁজে বেড়াই’ শিরোনামের সংগীত। মতিউর রহমানের গাওয়া গানের শিরোনাম ‘তুমি রবে নীরবে’।  ‘কে আবার বাজায় বাঁশি’ শীর্ষক গান শোনান নাছরিন আক্তার। এমন একক পরিবেশনার মাঝে এই দলের শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’ ও ‘ভয় কী মরণে’।

দ্বিতীয় পর্বে মঞ্চে আসে সুরধ্বনি দলভুক্ত শিল্পীরা। শুরুতেই তারা সমবেত কণ্ঠে গেয়ে শোনায় ‘আমার দেশের মতন এমন দেশ কি  কোথাও আছে’। কাজী নজরুল ইসলামের গীতবাণী আশ্রিত তাদের দ্বিতীয় পরিবেশনার শিরোনাম ছিল ‘চল চল চল’। একাত্তরের বীরত্বগাথার বারতায় জাহিদুল ইসলাম গেয়ে শোনান ‘ভেবো না গো মা তোমার ছেলেরা হারিয়ে গেছে পথে’। শিল্পী চক্রবর্তী শুনিয়েছেন ‘মম মধুর মিনতি’ শিরোনামের গান। দেলোয়ার হোসেন বয়াতী গেয়েছেন ‘ঝিনুকে মুক্তা হলে’। প্রিয়াংকা হালদার পরিবেশন করেন ‘তন্দ্রাহারা নয়ন আমার’। পরিমল কুমার ভৌমিক গেয়ে শোনান ‘আমায় ভাসাইলিরে’। ফেরদৌস আরা বেগম গেয়েছেন ‘আমায় নহে গো’। সুনীল সূত্রধর পরিবেশন করেন ‘কে তুমি বসি নদীর কূলে’। পুনম মির্জা শুনিয়েছেন ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’। কাজল মনি গেয়েছেন ফকির লালন সাঁইয়ের গান ‘করিমানা কাম ছাড়ে না’। 
আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সংগীত উৎসব। শুরু হবে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।

×