ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাত দেশের বারো নাটক থাকবে ॥ অভিজিৎ

গৌতম পাণ্ডে

প্রকাশিত: ২১:২৪, ১৫ নভেম্বর ২০২২

সাত দেশের বারো নাটক থাকবে ॥ অভিজিৎ

অভিজিৎ সেনগুপ্ত

মঞ্চাভিনেতা অভিজিৎ সেনগুপ্ত। একাধারে নাট্যকার ও নির্দেশক। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের নান্দীমুখ নাট্যদলের দলপ্রধান হয়ে দেশ বিদেশে নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে সুনাম অর্জন করে চলেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ৭টি দেশের ১২টি বিখ্যাত নাট্য প্রযোজনা নিয়ে শুরু হতে চলেছে ‘নান্দীমুখ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব’। উৎসবের সামগ্রিক দিক নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।
উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজন নিয়ে বলেন।
অভিজিৎ সেনগুপ্ত : চিরাচরিতভাবে উৎসবের একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকে। আমরাও সেই ধারাবাহিকতায় একটা অয়োজন করেছি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজ বিজ্ঞানী ও আমাদের বাতিঘর ড. অনুপম সেন। উৎসব উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিযাকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথিতি থাকবেন মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন ও নাট্য গবেষক আশিস গোস্বামী।
আমন্ত্রিত নাটকগুলোর বিষয়ে বলেন।
অভিজিৎ সেনগুপ্ত : এইবারের উৎসবে আমরা তিনটি মহাদেশ থেকে সাতটি দেশের বারটি নাটক নিয়ে উৎসবকে সাজিয়েছি। নাটকগুলোর ক্ষেত্রে আমরা বিষয়বস্তুকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি নাটকগুলো দর্শকের ভালো লাগবে।
উৎসব পথ পরিক্রমা নিয়ে বলেন।
অভিজিৎ সেনগুপ্ত : নটাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দলগুলোর কাছে তাদের প্রযোজনার ভিডিও চেয়েছিলাম। তারা পাঠিয়েছে এবং উৎসব কমিটি দেখে নির্বাচন করেছে। আসলে এই কাজটি শুরু করতে হয়েছে প্রায় এক বছর আগে থেকে। কারণ বিদেশী দলগুলোর সিডিউল একটা মূল বিষয়। আর আমাদের দেশে বিদেশী দল আনতে গেলে যে প্রক্রিয়া তা অনেক দীর্ঘ এবং ঝামেলা পূর্ণ।
উৎসবে আয়োজিত সেমিনার নিয়ে বলেন।
অভিজিৎ সেনগুপ্ত : এইবারের উৎসবে তিনটি সেমিনার থাকবে। বিষযগুলো আমরা নির্ধারণ করেছি সমকালীন থিয়েটারের বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে। একুশ শতকের আমাদের নাট্যচিন্তা কি হওয়া দরকার। বিগত দুই বছরের বিশ্ব মহামারী থিয়েটারকে কোনো জায়গায় নিয়ে গেছে এবং বিশ্ব থিয়েটার নতুন পথের সন্ধান করবে কিনা ইত্যাদি নানা ভাবনা থেকে আমরা একটি বিষয় নির্ধারণ করেছি।
উৎসব স্মরণিকা প্রকাশ নিয়ে বলুন।
অভিজিৎ সেনগুপ্ত : আমরা কোনো স্লোগান নির্ধারণ করিনি এইবারের উৎসবে। উদ্বোধনী সঙ্গীতটাকে আমাদের ভাবনা হিসেবে দেখছি। উদ্বোধনী সংগীতটা আমরা গ্রহণ করেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ পর্বের গান থেকে, ‘অন্তর মম বিকশিত কর অন্তর তর হে...’। স্মরণিকা সব উৎসবে প্রকাশ করা হয়। আমরাও স্মরণিকা প্রকাশ করব। এটা উৎসবের দ্বিতীয় দিন প্রকাশ হবে।
এ উৎসবে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ভূমিকা কি ?
অভিজিৎ সেনগুপ্ত : এটা নান্দীমুখের নিজস্ব আয়োজন। ফেডারেশানের পক্ষে তো সম্ভব নয় তার ৩৫০টিরও অধিক সদস্যদের নাট্য উৎসবে ভূমিকা রাখা। আর এটা ফেডারেশানের কাজও নয়। ফেডারেশানের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করতে পারে মাত্র।
গৌতম পাণ্ডে

×