
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ যা শিক্ষার্থীদের আত্মিক প্রশান্তি ও ধর্মীয় অনুশীলনের কেন্দ্রস্থল। এটি কেবল নামাজ আদায়ের স্থান নয়, বরং মানসিক প্রশান্তি, নৈতিক অনুশাসন ও সামাজিক সংহতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অথচ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটির আশপাশে সৌন্দর্যবর্ধনের ন্যূনতম চিহ্নও নেই।
মসজিদের সামনের খোলা জায়গা জুড়ে রয়েছে আগাছা, অব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যার অভাব। ফুলের বাগান, সুশৃঙ্খল সবুজায়ন কিংবা ছায়াময় বসার স্থান—কোনোটিই চোখে পড়ে না।।
শিক্ষার্থীদের একাংশের ভাষ্য অনুযায়ী, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকা যেন অবহেলিত এক দ্বীপ।” তাঁরা মনে করেন, ধর্মীয় পরিবেশের সঙ্গে মানানসই পরিচ্ছন্নতা ও নান্দনিকতা থাকলে তা একাধারে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি এবং পরিবেশগত সৌন্দর্য উভয়ই নিশ্চিত করত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে সৌন্দর্যবর্ধনের কথা বলা হলেও কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন এলাকাটি সেই উদ্যোগের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। অথচ এই জায়গাটি কেবল ধর্মীয় অনুভূতির প্রতীক নয়, বরং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার প্রতিফলনও।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নান্দনিক উন্নয়ন তখনই পূর্ণতা পায়, যখন প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাই পরিকল্পিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় আসে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের আশপাশের এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখন সময়ের দাবি
রাখে।
অতএব, সময় এসেছে ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়ার। প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ, স্থাপত্য সচেতনতা ও পরিকল্পিত সবুজায়নের মধ্য দিয়ে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিণত হতে পারে এক নান্দনিক, প্রশান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও দর্শনার্থীদের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে উঠবে।
মিরাজ খান