
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব অর্থনীতির চলমান অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে মোট ৪৫ বার। এর মধ্যে ২৯ বার দাম বেড়েছে, এবং ১৬ বার কমেছে।
বর্তমানে (রোববার), বাংলাদেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ১,৭১,৬০১ টাকায়। অথচ মাত্র কয়েক মাস আগেই, গত এপ্রিল মাসে, স্বর্ণের দাম ছুঁয়েছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১,৭৭,৮৮৮ টাকা।
বিশ্ববাজারের পরিস্থিতি
আন্তর্জাতিক বাজারে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম বর্তমানে উঠানামা করছে ৩২৮০ থেকে ৩৩৫০ ডলারের মধ্যে। তবে গত এপ্রিলেই এটি পৌঁছায় রেকর্ড ৩৫০০ ডলার পর্যন্ত, যা এই খাতের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স স্বর্ণকে এক লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে আউন্সপ্রতি ৩৭০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে স্বর্ণের দামের এই অস্থিরতার মূল কারণগুলো হলো:
*ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা
*ডলারের দামের ওঠানামা
*মুদ্রাস্ফীতির চাপ
*মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার নীতি
*ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কসংক্রান্ত নাটকীয়তা
যদিও স্বর্ণকে লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি বৈশ্বিক অস্থিরতা কমে আসে, তবে মূল্যবান এই ধাতুর দাম আবার *নিম্নমুখী হতে পারে*।
ছামিয়া