
ছবি: সংগৃহীত।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কড়া বার্তা উপেক্ষা করেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে ভারত।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানান, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের চলমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন করছে। তার ভাষায়, “ভারত আসলে রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অর্থ সহায়তা করছে।”
একইসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত জরিমানার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
তবে এই হুমকি ও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ১ আগস্ট এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোনো তৃতীয় দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা উচিত নয়। ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী, স্থিতিশীল এবং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।”
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২ আগস্ট প্রকাশিত তাদের এক প্রতিবেদনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের বক্তব্যে ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে "মৃত" বলে উল্লেখ করা হয়। ৩০ জুলাই তিনি ট্রুথ সোশালে লেখেন, “ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অত্যন্ত কম, কারণ তাদের শুল্কহার বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। অপরদিকে রাশিয়ার সঙ্গে কার্যত কোনো বাণিজ্য নেই। কিন্তু ভারত তাদের বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানী চাহিদা রাশিয়ার মাধ্যমেই মেটায়।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এসব মন্তব্য শুধু অসন্তোষ প্রকাশ নয়, বরং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে লক্ষ্য করে একটি রাজনৈতিক সতর্কবার্তাও।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর ভাষায়, “মস্কোর সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক এখন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য একটি বিরক্তিকর বাস্তবতা।”
নুসরাত