
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এফবিসিসিআই নির্বাচন
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এক দফা ৪৫ দিন সময় বাড়ানোর পর এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এফবিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চান সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। ওই হিসেবে অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এফবিসিসিআই নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক জোর দিয়েই বলেন, আর সময় বাড়ানো হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এফবিসিসিআই নির্বাচন সম্পন্ন করতে সরকার আন্তরিক।
আমাদের সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নির্বাচন চান, ইতোমধ্যে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের সেই দাবি মেনে মন্ত্রণালয় ৪৫ সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার কারণ নেই। এরপরও ডিভিস (ডকুমেন্টস অব ভেরিফিকেশন কোড) অডিট রিপোর্ট পূরণ তা দাখিল নিয়ে অনেকেই আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এসব নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে না। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত কোর্টের কোনো নির্দেশনা থাকলে সেটি অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবে এফবিসিসিআই।
জানা গেছে, এফবিসিসিআই নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও পরিচালক পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবার বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। এদিকে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমির হোসেন নূরানী বলেন, যথাসময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আর সময় বাড়ানো ঠিক হবে না। সাধারণ সদস্য (জিবি) ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচন চায়।
তিনি এফবিসিসিআই নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমানে এফবিসিসিআই এপেক্স বডি না থাকায় ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিনিধি না থাকায় অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এসে প্রতিনিধি না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। কেউ কেউ এসেও সত্যিকারের সেক্টরের প্রতিনিধি সঙ্গে দেখা করতে পারছে না, ফলে ই ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশাল গ্যাপ তৈরি হচ্ছে।
অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো হচ্ছে না। কর ও ভ্যাট ট্যাক্স নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করতে পারছে না ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। তিনি আরও বলেন, পোর্ট চার্জ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। এ অবস্থায় দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। ইতোপূর্বে সম্মিলতি ব্যবসায়ী পরিষদের নেতা মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মো. সহিদুল হক মোল্লা, মোহাম্মদ আফতাব জাভেদসহ প্রমুখ ব্যবসায়ীরা নেতারা দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। সেই সময় তারা বলেছিলেন, নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ না থাকায় সঠিক জায়গায় ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বলতে পারছে না।
এদিকে, এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরাও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সরব হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রার্থীরা গণসংযোগের সময় দ্রুত নির্বাচন দাবি করছেন। এর আগে দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছিল এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বোর্ড। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবিতে ৪৫ দিন সময় বাড়ানো হয়।
প্যানেল হু