
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে সোডিয়াম লরিল ইথার সালফেট (SLES) এবং লিনিয়ার আলকাইল বেঞ্জিন সালফোনিক অ্যাসিড (LABSA) উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে। এই দুটি উপাদান হাতধোয়া সাবান, শ্যাম্পু, ডিশওয়াশিং লিকুইড, ডিটারজেন্ট পাউডার, সাবান ও ডিশওয়াশিং বারের মতো পণ্যের মূল উপাদান। তবে ভারত ও চীনের মতো দেশ থেকে এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এসব কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ক্রেসেন্ট কেমিক্যালস লিমিটেড, ইউনাইটেড সালফো কেমিক্যালস লিমিটেড, লিবার্টি কেমিক্যালস লিমিটেড, ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড এবং রাইমার কেমিক্যালস লিমিটেড-এর মতো দেশীয় উৎপাদকরা পুরো দেশের চাহিদা পূরণের সক্ষমতা রাখে। তারপরও আমদানি রয়ে গেছে উচ্চমাত্রায়, যার একটি প্রধান কারণ হলো স্বল্প আমদানি শুল্ক—SLES-এর ক্ষেত্রে মাত্র ১০% এবং LABSA-এর কাঁচামালে ৫%।
এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ ল্যাবসা অ্যান্ড SLES ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন (LSMAB) দেশীয় শিল্পকে সহায়তার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সংগঠনটি আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্কহার ১৫ শতাংশে উন্নীত করা, দেশীয় উৎপাদনে বিদ্যমান ৫% ভ্যাট অব্যাহতি ২০৩০ সাল পর্যন্ত বজায় রাখা এবং পরবর্তী পাঁচ বছর কাঁচামালের শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
এসব পদক্ষেপ দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে, আমদানি নির্ভরতা কমাতে, সাপ্লাই চেইনের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের বছরে ৫৫,০০০ মেট্রিক টন LABSA এবং ১০,০০০ মেট্রিক টন SLES চাহিদা রয়েছে, যা দেশীয় বাজার নিজেই মেটাতে সক্ষম—ফলে লাভবান হবে দেশীয় উৎপাদকরা ও দেশের অর্থনীতি।
মুমু