
ছবি:সংগৃহীত
জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ চারপাশ থেকে মাপার পর দুটি মানের গড় বের করতে হয়। এরপর গড় দৈর্ঘ্য ও গড় প্রস্থ গুণ করলে জমির মোট ক্ষেত্রফল (বর্গফুটে) পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি জমির আয়তন হয় ৪৯০০ বর্গফুট, তবে সেটি প্রায় ১.১২ শতাংশ বা ৬.৮ কাঠার সমান।
জমি মাপার ধাপসমূহ
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপা:
জমির চারদিক থেকে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পরিমাপ করুন। সাধারণত দুই দিকের মান নেওয়া হয়।
গড় নির্ণয়:
- দুই পাশে মাপা দৈর্ঘ্য যোগ করে ২ দিয়ে ভাগ করলে গড় দৈর্ঘ্য পাওয়া যায়।
- একইভাবে প্রস্থের ক্ষেত্রেও গড় প্রস্থ নির্ণয় করতে হয়।
ক্ষেত্রফল নির্ণয়:
গড় দৈর্ঘ্য × গড় প্রস্থ = জমির মোট আয়তন (বর্গফুটে)।
একক রূপান্তর:
জমির আয়তনকে শতক বা কাঠায় রূপান্তর করার জন্য:
- ১ শতাংশ = ৪৩৫৬ বর্গফুট
- ১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট
- উদাহরণ: ৪৯০০ বর্গফুট জমি = প্রায় ১.১২ শতাংশ বা ৬.৮ কাঠা
গুরুত্ব ও বাস্তব প্রয়োগ
অসমান জমির ক্ষেত্রেও কার্যকর: অসমতল জমির ক্ষেত্রেও এই গড় নির্ণয় পদ্ধতি প্রায় নির্ভুল হিসাব দিতে পারে।
খরচ ও সময় সাশ্রয়: নিজেরা জমি মাপতে পারলে পেশাদার সেবা নেওয়ার প্রয়োজন কমে যায়।
আইনগত সচেতনতা: ভুল জমি মাপ থেকে অনেক সময় মামলা-মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়। সঠিক মাপ জানলে এমন জটিলতা এড়ানো যায়।
মারিয়া