
ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুরে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মাদারীপুর পৌরসভার ‘নতুন মাদারীপুর’ গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে লিখন মুন্সি, মিলন মুন্সি ও সোহাগ মুন্সি। তাদের মধ্যে লিখন মুন্সি শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সি হত্যা মামলার আসামি ও একটি পত্রিকার সাংবাদিক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলা বিএনপির আয়োজনে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে বুধবার একটি বিজয় মিছিল শকুনি লেকের পাড় থেকে বের হয়ে ইটেরপুলের দিকে রওনা দেয়। এতে অংশ নেয় লিখন মুন্সিসহ তাঁর চার ভাই। এ সময় পেছন থেকে লিখনের মেঝ ভাই মিলনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় কুপিয়ে জখম করা হয় মিলনকে। তাকে বাঁচাতে লিখন ও সোহাগ এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে তিন ভাইকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।
এদিকে, তিন ভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ধাওয়া দিয়ে একই এলাকার মামুন ঢালীর ছেলে আবির ঢালীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে আবির ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, “শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সি হত্যাকাণ্ডের জেরে এই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে লিখন মুন্সির লোকজন আবির ঢালী নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বিগত ২৩ মার্চ রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার ‘নতুন মাদারীপুর’ এলাকায় সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি (একাংশ) ও নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ মার্চ দুপুরে নিহতের বড় ভাই হাসান মুন্সি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৬৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় লিখন মুন্সিকে।
মুমু ২