
ছবি:সংগৃহীত
২০২৫ সালের ২৫ এপ্রিল, ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অজিত প্রতিদিনকার মতো নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করেন। তবে ওইদিন তার জন্য ছিল এক অদ্ভুত চমক। NDTV-র একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, তিনি নিজের অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ অর্থ দেখেন, তা ছিল অকল্পনীয় , রুপি ১,০০,১৩,৫৬,০০,০০,০১,৩৯,৫৪,২১,০০,২৩,৫৬,০০,০০,০১,৩৯,৫৪২ রুপি।
এটি একটি ৩৬-সংখ্যার অঙ্ক, যা সাধারণ সংখ্যা পদ্ধতিতে বোঝানো বা একটি সাধারণ ডিজিটাল ক্যালকুলেটরে হিসেব করাও সম্ভব নয়।
অজিতের অ্যাকাউন্টে সেইদিন মাত্র দুটি লেনদেন হয় , একটি ১,৮০০ টাকার এবং অপরটি ১,৪০০ টাকার। এই স্বাভাবিক লেনদেনের মধ্যেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকার উপস্থিতি তাকে ও তার পরিবারকে হতবাক করে তোলে। প্রথমে তার স্ত্রী এক মুহূর্তের জন্য আনন্দে বিভোর হয়ে যান, ভাবতে থাকেন এই অর্থ হয়তো তাদের জীবন বদলে দিতে পারে। তবে আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, খুব দ্রুতই তা আশঙ্কা ও সংশয়ের জায়গা নেয়।
এই অস্বাভাবিক ব্যালেন্স দেখে পরিবারের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠে আসে , এটি কি কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি, না কি কোনো সাইবার হ্যাকিংয়ের ফল? তারা পুলিশের সাহায্য নেন এবং পরে সাইবার অপরাধ বিভাগে অভিযোগ জানান। ব্যাংকের পক্ষ থেকে ত্রুটির কথা স্বীকার করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার উৎস বা সমাধান দিতে পারেনি তারা। আপাতত অজিতের অ্যাকাউন্টটি তদন্তের স্বার্থে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপব্যবহার না হয়।
এই ঘটনা জনমনে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে রসিকতা, মিম এবং নানা রকম মন্তব্যে ভরে গেছে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, “অজিত যেন দ্রুত টাকা তুলে নেন,” আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “এই ধরনের ত্রুটি কি ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেমের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে না?”
এই ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোপুরি ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলা বিশ্বে, ব্যাংকিং সিস্টেমে এমন ত্রুটি এক ভয়াবহ সতর্ক সংকেত। মানুষের ডেটা, নিরাপত্তা এবং ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের স্থিতিশীলতা নিয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
অজিতের এই ঘটনাটি কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ব্যাংকিং ত্রুটি নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার সক্ষমতা, নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির ওপর এক বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে ধরেছে।
আঁখি