..
সাক্ষী চাঁদের নীল জোছনা -সুবর্ণা দাশ মুনমুন
বৃষ্টিরে তুই দেখিসনি তো
ঈশান কোণে মেঘের জুটি
কানি আঙুল ঠেকিয়ে দিয়ে
আকাশটারেই বললি ছুটি।
দেখিসনি তুই মন খারাপের
বিকেল কেমন একলা হাসে
দেখিসনি তুই হাওয়ার গাড়ি
আকাশটারেই ভালোবাসে।
শোন বৃষ্টি,
তুই কি শুধুই সামনে তাকাস?
ঐ যে দূরে পাঁচকড়ি মাঠ
আড়াল দিলেই ফিঙের বাড়ি
তারও ডানে, ঠিক পেছনে
দেখতে পাবি একলা আকাশ।
কিচ্ছুটি তুই দেখিসনি ছাই
তোর কেবলই ধেয়ে চলা মাটির বুকে-
তুই কি ছিলি মেঘের বুকে
আধো বোলের জলের কনা?
রোদ বুঝি তোর একলা ভেজার সাক্ষী ছিল
রাত্তিরেতে নীল জোছনা?
*
ঘর পালানো ছেলের দল - আলমগীর কবির
আমরা হলাম ঘর পালানো ছেলের দল,
চোখের তারায় স্বপ্ন নাচে ঝলমল!
সাহস ডানায় স্বপ্নপুরের দেশে যাই।
সদ্য ফোটা ফুলের মতো হেসে যাই!
বুকের ভেতর ফুলের সুবাস মিথ্যে নেই,
লোভ-লালসা মন ও মনন-চিত্তে নেই!
রাতের কোলে জ্বলতে থাকা জোনাকি,
চোখের পাতায় রঙিন স্বপ্ন বোনা কি?
ফুল পাখিরা প্রশ্ন শুধায় আদরে,
বুকের ভেতর প্রাণের খুশি না ধরে!
সূর্য হাসে মেঘের নদীর আড়ালে,
বাধা যতো সামনে এসে দাঁড়ালে
ভয় করি না আলোর খোঁজে জুটে যাই,
পাহাড় নদীর অভিমুখে ছুটে যাই।
.
আসছে শরৎ - রহমান জীবন
শরৎ আমার
ভালো লাগে
খুব যে
তাই শরতের
রূপে দেবো
ডুব যে।
কাশফুলেরা
ঘাসফুলেরা
শরতে ঝলমল
আকাশ জুড়ে
বেড়াবে খুব
সাদা মেঘের দল।
বিলে ঝিলে
শাপলা শালুক
মিষ্টি বাতাস বয়
রূপের রানী
আসছে শরৎ
বহু রূপময়।
.
বোকা দাদু - সুশান্ত কুমার দে
বর্ষাকালে কচুর পাতা
যেন সবুজ ছাতা,
টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে
ঢাকে নিজ মাথা।
ছাতার উপর টলমল
বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে,
ছোট খোকা বোকা বলে
মুক্ত ভেবে ধরে।
দাদু এসেই- বক বক
কাঁপছিল ঠক ঠক,
আরে দাদু, কচু পাতায়
দেখো না ঝকমক?
খোকার চেয়ে বেশি বোকা
বললো দাদু চুপ,
চাঁদি রুপার গহনা যেমন
দেখি তেমন রূপ!
টপাটপ দাদু ধরতে গেলে
সবটুকু যায় ঝরে,
সব হারিয়ে দাদুর মাথায়
লাটিম যেন ঘোরে!
.
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ব্যাঙ - রতন ইসলাম
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
ডাকছে ডোবার ব্যাঙ
বর্ষাকালের পানি পেয়ে
জলেই রাখে ঠ্যাঙ।
বৃষ্টি এলে ভেজে ওরা?
না না, ওরা ভেজে না তো
ছাতা বানায় নিজে ওরা।
ছাতার নিচে মাথা দিয়ে
শয্যা বানায় পাতা দিয়ে?
দেয় কি অলস ঘুম?
বৃষ্টি এলে ঝুম?
ঘুমোয় জাগে ঘুমোয় জাগে
আসে যদি সাপ,
সাপের হাতে পড়লে জীবন
আর পাবে না মাফ।