ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ছন্দে ছন্দে ছায়ানটের নৃত্য উৎসব দর্শক মুগ্ধ

​​​​​​​সংস্কৃতি প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ২৩:৩৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ছন্দে ছন্দে ছায়ানটের  নৃত্য উৎসব  দর্শক মুগ্ধ

ছায়ানট মিলনায়তনে নৃত্য উৎসবে শিল্পীদের দলীয় পরিবেশনা

প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ছায়ানট আয়োজন করেছে নৃত্য ৎসব। শনিবার সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে ৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নানান ধারার নাচের আয়োজনটি ছিল অনবদ্য। একক, দলীয়, মণিপুরী, ভরতনাট্যম, ওড়িশি, গৌড়ীয় কত্থক নৃত্যে দর্শক মুগ্ধ হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত কথন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, প্রকৃত শিক্ষার জন্য সংস্কৃতির যোগ জরুরি। সংগীতের, নৃত্যের চর্চা যত প্রসার পাবে সমাজ তত অগ্রসর হবে। নৃত্য দেহের সংগীত মন্তব্য করে বলেন, চোখ, হাত, পা, সারা দেহ সঞ্চালনের শৈল্পিক রূপটি নৃত্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। আদিকাল থেকে যে শিল্পকলাটি লক্ষ্য করা গেছে, সেটি নৃত্যশৈলী। তাই শরীরী সঞ্চালনের মধ্য দিয়ে কোনো ঘটনা উপলব্ধির প্রকাশ নৃত্যশিল্পীরা করে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েক দশক ধরে নৃত্য চর্চার বিকাশ বিস্তার ভূখণ্ডে ঘটতে দেখা যায়। ছায়ানট নৃত্যের ধ্রæপদি রূপের  চর্চা করে আসছে। নৃত্যের যে ধারা, তার প্রকাশ ৎসবের মধ্য দিয়ে দেখা যাবে।

ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় মণিপুরী নৃত্যমন্দিরা নর্তনদিয়ে শুরু হয় ৎসব। এর পর একে একে মণিপুরী নৃত্য পরিবেশন করে ঢাকার শিল্পী মনোমি তানজানা অর্থী। তার নাচের শিরোনাম ছিলবসন্ত প্রবন্ধ ঢাকার ধৃতি নর্তনালয়ের দলীয় পরিবেশনায় ছিলরাধানর্তনমণিপুরী নৃত্য। সুইটি দাশ একক পরিবেশন করেনকালিয়দমন সিলেটের শিল্পী সান্ত¦না দেবীর পরিবেশনায় ছিলহারিরিহমুগ্ধব মণিপুরী নৃত্যের শেষ শিল্পী ছিলেন সিলেটের অর্ণব শর্মা। তার পরিবেশনায় ছিলপুংচলম

মণিপুরী নৃত্যের পর শুরু হয় ভরতনাট্যম। এতে ছায়ানটের শিল্পীদের দলীয় পরিবেশনায় ছিলদেশ বন্দনা আলারিপু এর পর ঢাকার শিল্পী অমিত চৌধুরী পরিবেশন করেনশিবপদম নৃত্যাবৃত্তির দলীয় পরিবেশনায় ছিলপদম শিল্পী জুয়েইরিয়াহ মৌলি পরিবেশন করেনপঞ্চরাগ তিল্লানা

ঢাকার নৃত্যছন্দের দলীয় পরিবেশনাহংসধ্বনি পল্লবীদিয়ে শুরু হয় ওড়িশি নৃত্য। এতে মো. জসিম উদ্দিন আফিয়া ইবনাত হালিম পরিবেশন করেনমঙ্গলাচরণএবং চট্টগ্রামের উষি অ্যান্ড টেগর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টারের শিল্পীরা পরিবেশন করেমোক্ষ্য। পরে ঢাকার ্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিসের পরিবেশনায় ছিল গৌড়ীয় নৃত্যশিবনামাবলি

ৎসবের শেষ পর্বে ছিল কত্থক নৃত্য। এতেপমলবন্ধন তাল ধামারপরিবেশন করেন শিল্পী এস এম হাসান ইশতিয়াক ইমন। স্নাতা শাহরিনের পরিবেশনায় ছিল ঠুমরী (অভিনয়ভিত্তিক) কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের দলীয় পরিবেশনায় ছিলছন্দমালিকা শিল্পী মুনমুন আহমেদের একক পরিবেশনায় ছিলবসন্ত কত্থক নৃত্য পর্বের শেষ পরিবেশনা ছিল ঢাকার নৃত্যাঞ্চলের। তারা দলীয়ভাবে পরিবেশন করেতারানা সবশেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ছায়ানট আয়োজিত নৃত্য ৎসব।

×