
সংকটের মধ্যেও তাঁতিরা তাদের পূর্বপুরুষের জামদানি শিল্প ধরে রেখেছেন
জামদানি আমাদের গর্ব, আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসের অংশ। ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক পণ্য জামদানি শিল্প। একটা সময় ধনী পরিবারের নারীরাই জামদানি শাড়ি পরলেও এখন এর চাহিদা মধ্যবিত্তসহ সাধারণ শ্রেণিতেও রয়েছে। তবে তাঁতি সংকট বর্তমানে এ শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ সংকট বাড়তে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই পিছিয়ে পড়ে শিল্পটি ঐতিহ্য হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়াও ভারতীয় জামদানিতে সয়লাব রাজধানীসহ সারাদেশ, যা এ শিল্পের আরও একটি বড় সংকট। এ ক্ষেত্রে ক্রেতারাও ঠকছেন কম দামে ভারতীয় জামদানি কিনতে গিয়ে।
এদিকে ডেমরার ঐতিহ্যবাহী জামদানির হাটে দালালের দৌড়াত্ম্য বাড়ছে বলে জিম্মি দশায় রয়েছেন হাটে আসা জামদানি ব্যবসায়ী ও তাঁতিরা। দালালদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন রাখার অভিযোগ উঠেছে। তাই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এ দেশের প্রথম ভৌগোলিক পণ্য জামদানির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারের আরও সুদৃষ্টি বাড়ানোর প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এ শিল্প থেকে উৎসাহ হারানো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জামদানি শিল্পী ও তাঁতিদের একত্রিত করা, তাদের শতভাগ অধিকার নিশ্চিত করে সরকারিভাবে এ পেশায় মর্যাদা বৃদ্ধি, কাজের মূল্য বৃদ্ধি, শিশু-কিশোর তাঁতিদের লেখাপড়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি সকল কাজে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক পদক্ষেপ সরকারিভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞরা। তবেই বিশ্বের দরবারে মসলিনের মতো ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটা সম্ভব। তবে এ পদক্ষেপের আরও একটি অংশ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সর্বক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ব্যাপক প্রচার চালানো।
ইতিহাসদৃষ্টে জানা যায়, একটি মত অনুসারে ‘জামদানি’ ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। ফার্সি ‘জামা’ অর্থ কাপড়, আর ‘দানি’ অর্থ বুটি। সে অর্থে জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়। আরেকটি মতে, ফার্সি ভাষায় ‘জাম’ এক প্রকার উৎকৃষ্ট মদের নাম এবং ‘দানি’ অর্থ পেয়ালা, যা খুবই শিল্পমন্ডিত। অনেকের ধারণা, দুটো পণ্যের উৎকর্ষতার কারণে রূপক অর্থে একই নাম ব্যবহৃত হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতকের ইতিহাসে দেখা যায়, চন্দ্রগুপ্তের সভায় গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস দেখেছিলেন, ফুলেল সৌকর্যের এক অসাধারণ মসলিন। ধারণা করা হয়, মেগাস্থিনিস যে মসলিন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেটি আসলে জামদানি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জামদানি ঐতিহ্যের ওপর ভর করেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘ডেমরাবাজার জামদানির হাট’। প্রায় সাড়ে ৩শ’ বছরের পুরনো এই হাটটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন হাট। এ হাটেই নাকি বিক্রি হতো মসলিন কাপড়। এখনো এ হাটটির ওপর নির্ভর করে চলছে শীতলক্ষ্যা তীরের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ উপজেলার জামদানি শিল্প। তবে এটির অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে দেশের সব অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জামদানি কিনতে পারবেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, একটা সময় ডেমরায় জামদানির হাট বসত। বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে শুক্রবার কাকডাকা ভোরেই বেচাকেনা শেষ হতো। বর্তমানে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত থাকে এই হাট বসে। তবে এ হাটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, দালাল চক্র, যাদের দৌরাত্ম্যে জিম্মিদশায় রয়েছেন হাটে আসা ব্যবসায়ী ও তাঁতিরা। বর্তমানে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকা অনেক তাঁতিরা অনলাইনে জামদানি কেনাবেচা শুরু করছেন। আর প্রচুর অনলাইন ব্যবসায়ী এখান থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে জামদানি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধাজনক হওয়ায় ডেমরা জামদানি হাটেই আসেন তারা।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী ডেমরার জামদানি হাটটিতে প্রথমে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি টিনশেড করে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে শেডের চালগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ হাটটি যদি ডিএসসিসির পক্ষ থেকে পরিকল্পিত কমপ্লেক্স ভবনে রূপান্তর করা যায়, তাহলে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা নির্বিঘ্নে হাটে এসে নিরাপদভাবে জামদানি কিনতে পারবেন। এতে শত শত বছরের ঐতিহ্যও রক্ষা হবে।
সরেজমিনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জামদানি শিল্পনগরী রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সূত্রে জানা যায়, শীতলক্ষ্যা তীরের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ উপজেলা বাংলাদেশে জামদানি শিল্পের প্রধান কেন্দ্র। রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া, রূপসী, মৈকুলী, খাদুন, পবনকুল, কাজীপাড়া, মোগরাকুল, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁসহ আড়াইহাজারের তাঁতিরা জামদানি তৈরি করেন মূলত। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অন্তত ছয় হাজার তাঁতি। তাদের সঙ্গে রয়েছেন আরও সহযোগী। আর বাংলাদেশের এ অঞ্চলেই শুধু তৈরি হয় হাতে বোনা জামদানি, যার বিশ্বের দরবারে অনেক কদর রয়েছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, এ শিল্পনগরীতে বর্তমানে ৪৬০টি প্লটের মধ্যে ১৫০০ তাঁতি রয়েছেন। আশপাশের অন্যান্য এলাকাতে ব্যবসায়ীরা জামদানি শিল্পী ও সহযোগী নিয়ে জামদানি শাড়ি তৈরি করে হাটে ও মার্কেটে বিক্রি করেন। অনেক তাঁতি আবার নিজেরাই তাদের উৎপাদন করা জামদানি অনলাইনেসহ হাটে বিক্রি করেন। আগের তুলনায় জামদানি শিল্প এগিয়ে চললেও বর্তমানে তাঁতি সংকট এ শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। কারণ একজন জামদানি শিল্পী হতে অনেক বছর লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে ছয় বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে একটি ছেলে বা মেয়েকে মাক্কু ও সুতা ধরার কাজ শুরু করতে হয়। ভরণপোষণসহ নামমাত্র কিছু টাকার বিনিময়ে অন্তত দুই-তিন বছর কাজ শিখতে হয়। আর এ কাজে আয় অনেক কম বলে তাঁতিরা বর্তমানে তাদের ছেলে-মেয়েদের এ কাজ করতে দিতে চান না। তবে এখন তাঁতিরা আগের তুলনায় ভালো বেতন পাচ্ছেন বলে তারা খুশি। কাজও করছেন মনোযোগ দিয়ে।
একাধিক জামদানি ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে আগের তুলনায় তাঁতিরা পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা বেতন বেশি পাচ্ছেন। যে তাঁতি আগে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন তারা এখন পাচ্ছেন কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা মাসিক। তাদের সহযোগীরাও একইভাবে রোজগার বেশি করছেন। রেশম সিল্ক সুতার দাম প্রতি শাড়িতে ৩০০ টাকা বাড়লেও নাইলন সুতার খুব একটা বাড়েনি। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা কাপড় ভালোলাভেই বিক্রি করতে পারছি। তবে নতুন করে তেমন তাঁতির সংখ্যা বাড়ছে না, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো কোনো লক্ষণ নয়। তাই এ সংকট মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ জামদানি শিল্পী বাঁচলেই এ শিল্প বাঁচবে, রক্ষা হবে শত শত বছরের ঐতিহ্য।
তারা আরও জানান, ক্রেতারাও সতর্ক নয়। যেখানে বাংলাদেশের হাতে তৈরি একটি জামদানি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগে ক্রয় করতে, সেখানে তারা ভারতীয় একটি শাড়ি ২৫০০ টাকায় কিনতে আগ্রহী, যা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ভারতীয় যে জামদানি সাত হাজার টাকা লাগে কিনতে, সেখানে ভালো মানের একই শাড়ি কিনতে ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। তবে ভারতীয় জামদানি প্রস্তুতকারীরা কারিগরের অভাবে বাংলাদেশের মতো কাপড় প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয় শত চেষ্টার পরও। এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো খুবই জরুরি। ডেমরার হাটে আসা হাতে বোনা জামদানি ব্যবসায়ী মোবারক, ইদ্রিস, জয়নালসহ একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বর্তমানে ঢাকাসহ বাংলাদেশের সকল মফস্বল শহরে ভারতীয় জামদানিতে সয়লাব, যা আমাদের দেশীয় জামদানির বেলায় মারাত্মক বাধা। ভারতীয় শাড়িতে একপাশে নকশা থাকে বলে নকশার সুতা ধরে টান দিলেই নকশার সুতা সব খুলে যায়। আর হাতে বোনা দেশীয় জামদানিতে কাপড় ছিঁড়ে গেলেও নকশা নষ্ট হবে না। এ ক্ষেত্রে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। বেশি মুনাফার আশায় সস্তা মূল্যে ভারতীয় জামদানি কাপড় গ্রাহকের তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা, যা কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়।
ভারতীয় জামদানি আসা বন্ধ না হলে এ দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শিল্পের বড় ক্ষতি হবে। তারপরও শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বর্তমানে জামদানি শিল্প এগিয়ে চলেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁতি সংকট মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপসহ আরও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন সফল হওয়ায় প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে জামদানি শিল্প, যা পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
জানা যায়, জামদানি মূলত দুই ধরনের হয়- মেশিন জামদানি ও তাঁত জামদানি। মেশিন জামদানির শাড়িগুলো এক প্রকার যান্ত্রিক মেশিনে একজন বসেই তৈরি করা যায়, সময়ও কম লাগে। তাই মেশিন জামদানির দাম কম থাকে। সাধারণত ৯শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার মধ্যে মেশিন জামদানি পাওয়া যায়। অন্যদিকে তাঁতের জামদানি তৈরি করতে দুজন লোক বসতে হয়। সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, মাস এমনকি তিন মাস সময় ধরেও একটি জামদানি ডিজাইনভেদে তৈরি করতে হয়। ফলে তাঁতের জামদানির দাম অনেক বেশি ও টেকসই বেশি হয়। সুতার ধরনেও আছে পার্থক্য। বর্তমানে সুতি, হাফসিল্ক, রেশম এবং সুতি ও হাফসিল্ক মিক্সড শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। মেশিন জামদানিতে নাইলন সুতা বেশি দেওয়া হয়, তাই কিছুদিন পরেই শাড়ি ফেঁসে যায়। কিন্তু তাঁত জামদানিতে সেটা হয় না।
আরও জানা যায়, সুতার কাউন্ট যত বেশি হবে, শাড়ি তত ওজনে হালকা হবে। তবে কাউন্ট কম হলে শাড়ি ভারী হয়ে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৮৪ থেকে ১০০ কাউন্ট জামদানি পাওয়া যায়। কিন্তু ১০০ কাউন্টের সুতা দেশে সহজলভ্য নয় এবং তা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই সবচেয়ে দামি শাড়িগুলো বেশিরভাগই ৮৪ কাউন্টের হয়ে থাকে। তবে মাস ধরে হাতে বোনা জামদানি দেড় লাখ টাকাতেও বিক্রি হয়।
উল্লেখ্য, জামদানি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কতখানি ভূমিকা রাখছে, তা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন। বিগত ২০১৩ সালে ইউনেসকো জামদানি বয়নশিল্পকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ বা ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা কর্তৃক জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অ্যাক্ট) আইনের আওতায় জামদানি বাংলাদেশের, বিশেষ করে ঢাকা অঞ্চলের সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত বলে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই দুটি অর্জন থেকেই বোঝা যায়, জামদানির কদর কতটা উঁচুতে। আর মসলিন ও জামদানি কাপড়ে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। সেদিক থেকে জামদানি মসলিনেরই একটি প্রজাতি। মসলিন বয়নে যেমন কমপক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়, আর জামদানি বয়নে সাধারণত ব্যবহার হয় ২৬, ৮০, ৮৪ ও ১০০ কাউন্টের সুতা দিয়ে। কিন্তু মসলিন থেকে জামদানির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এর পাড় ও জমিনে বিভিন্ন রঙের মোটা সুতায় বুননের মাধ্যমে অসংখ্য দৃশ্য ও কারুকাজ। প্রাকৃতিক রূপ ও ছন্দের জ্যামিতিক রূপায়ণে হাজার বছরের বিবর্তিত মোটিফ হচ্ছে জামদানি নক্সার মূল প্রাণশক্তি, যা দিয়ে আজও জামদানি শিল্পকে তার ব্যক্তিত্বে শনাক্ত করা যায়।