ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

এজ গ্যালারিতে চলছে শিল্পী নীপার চিত্র প্রদর্শনী

​​​​​​​সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

এজ গ্যালারিতে চলছে  শিল্পী নীপার  চিত্র প্রদর্শনী

গুলশানের এজ গ্যালারিতে মাকসুদা ইকবাল নীপার চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর ছবি দেখছেন দর্শনার্থীরা

বির্মূত রীতির অনুসারী এক চিত্রকর মাকসুদা ইকবাল নীপা। নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা অবয়ব ধরা দেয় না এই শিল্পীর ক্যানভাসে। তবে নির্দিষ্ট অবয়বের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র আঙ্গিকে আবির্ভূত হয় তার চিত্রিত চিত্রকর্ম। মূলত বর্ণ বৈভবের উদদ্দীপনাকে উপজীব্য করে ছবি আঁকেন এই শিল্পী। রঙের ওপর রঙ চাপিয়ে সাজিয়ে তোলেন ক্যানভাস। সেই সুবাদে রেখা কিংবা বিন্যাসের আধিক্যের পরিবর্তে রঙের ফোয়ারা বয়ে যায় তার সৃজিত শিল্পকর্মের শরীরে। রঙের সৌন্দর্যময়তা সৃষ্টি করে ভিন্ন এক আবহ। শিল্পরসিকের নয়নে ছড়িয়ে দেওয়া ভালোলাগার অনুভব।

আর সেসব ছবিতে উদ্ভাসিত হয় নীপার শিল্পী মননে ঘুরে বেড়ানো বিচিত্র অনুভব। অনুভূতির প্রকাশে সজীব হয়ে ওঠে চিত্রপট। যাপিত জীবনের আনন্দ-উচ্ছ্বাস, বিষণœতা কিংবা ভালোলাগার রসায়নে মায়াবি এক পথরেখার দেখা মেলে নীপার ছবিতে। গুলশানের এজ গ্যালারিতে চলছে এই চিত্রশিল্পীর ১০তম একক প্রদর্শনী। শিল্পায়োজনটির শিরোনামঅরিক ভাইব্রেন্স : দ্য কল্ড্রন অব প্যাশন  রবিবার সন্ধ্যায় তিন সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রদর্শনীর চিত্রকর্ম প্রসঙ্গে মাকসুদা ইকবাল নীপা বলেন, গত তিন বছরের বেশি সময়ের শিল্পিত সাধনার ফসল এসব ছবি। সে পর্বে কখনো টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্টুডিওতে আঁকাআঁকিতে নিমগ্ন থেকেছি। যখন আমি ছবি আঁকি তখন সংসার, সন্তান, পরিবার সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলি। দুঃখ, কষ্ট বা প্রাত্যহিকতার গ্লানির বাইরে গিয়ে জীবনের মাধুর্যকে তুলে আনি। আর ছবি আঁকার ক্ষেত্রে আমি কখনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেই না। হৃদয়ের অনুভবকে গুরুত্ব দেই।

মূলত নিজস্ব অনুভূতির জগৎ হয়ে হয়ে ওঠে আর চিত্রকর্ম সৃজনের প্রধানতম অনুষঙ্গ। সেই অনুভব বা ভাবনার ভুবনকে উপজীব্য করে এগিয়ে যাই শিল্প সৃজনের পথে। এরপর মেতে ওঠে রঙের খেলায়। বারবার আস্তর পড়তে থাকে ক্যানভাসে। একটি রংকে ধরে কাজ করতে গিয়ে কখনো ধাবিত হয় ভিন্ন কোনো রঙের গতিপথে। অতঃপর রঙের সঙ্গে টেক্সচারের মেলবন্ধনে সৃষ্টির নিজস্ব পথরেখা খুঁজে নেয় আমার চিত্রপট। সেখানে মূর্ত বা রিয়েলিস্টিক আঙ্গিকের বদলে বিমূর্ত ধারা প্রাধান্য পায়। আর শিল্প সৃজনে এই স্বতন্ত্র রূপরেখা তৈরির ধারাটি এসেছে জাপানে চারুকলাবিষয়ক শিক্ষাকালীন সময়। সেখানকার শিক্ষাগুরুর কাছ থেকেই এই ধারাটি রপ্ত করেছি। চিত্রকর্ম চিত্রণে প্রচলিত ধারা ভেঙে নিজস্বতা কা স্বাতন্ত্র্যের সন্ধান করেছি।

 

×