ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিদর্শনগুলো দেখলে শিউরে উঠবে যে কোনো মানুষ

মুক্তিযুদ্ধের দগদগে স্মৃতি নিয়ে খুলনায় গণহত্যা জাদুঘর

স্বপ্না চক্রবর্তী, খুলনা থেকে

প্রকাশিত: ২৩:০০, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

মুক্তিযুদ্ধের দগদগে স্মৃতি নিয়ে খুলনায় গণহত্যা জাদুঘর

.

পাশাপাশি তিনটা কাঁচের বাক্স।  ঝকঝকে কাঁচের বাক্সের একটিতে সাজানো চারটি মাথার খুলি। পাশের বাক্সটিতে লম্বাটে করে রাখা চারটা পায়ের রানের অংশ। বাকি আরেকটাতে ছড়ানো-ছিটানোভাবে বেশ কয়েকটি মাথার খুলির পাশাপাশি শরীরের নানা অংশের খন্ডিত খন্ডিত হাড়ের টুকরো। এসব কোনো সিনেমার দৃশ্যপট নয়। খুলনার ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে এমন অনেকগুলো কাঁচের বাক্সে গণহত্যার স্মৃতিগুলো যেন স্বাধীনতার দগদগে ঘায়ের স্মৃতি হয়ে ধরা দেবে যেকোনো মানুষের কাছে। জাদুঘরে একটি কক্ষে সাজিয়ে রাখা একটি বয়লার মেশিন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদারবাহিনী এই মেশিনে খুলনা অঞ্চলের মানুষদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারত। বয়লার মেশিন বা হাড়গোড়ের বাক্স নয় খুুলনার ‘১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ যেন হয়ে উঠেছে  বাঙালির মুক্তি, স্বাধীনতার স্পৃহা আর মুক্তিযুদ্ধকালের সবচেয়ে মর্মন্তুদ পর্বের নিদর্শন। সেগুলোর সামনে দাঁড়ালে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের দর্শনার্থীর শিউরে উঠবে শরীর।
জাদুঘর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের উৎসাহে ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনায় এই জাদুঘর যাত্রা শুরু করে। শুরুতে ময়লাপোতা এলাকার শেরেবাংলা রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৫ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের দ্বিতল একটি বাড়ি উপহার দেন। সংস্কারের পর ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ সেই বাড়িতে স্থানান্তর হয় জাদুঘরটি। ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতনের নিদর্শন সংরক্ষণ, বধ্যভূমি ও গণকবর-সংক্রান্ত তথ্যভা-ার গড়ে তোলা, গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করা এবং গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি দেশের একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর। এটি খুলনায় স্থাপনের অন্যতম কারণ চুকনগর বধ্যভূমি এখানে অবস্থিত। চুকনগরে ১৯৭১ সালের সবচেয়ে বড় ও নৃশংস গণহত্যাটি চালিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা। তবে শুধু খুলনা অঞ্চল নয়, মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশের বিভিন্ন গণহত্যার নিদর্শন জায়গা পেয়েছে এই জাদুঘরে। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর পাঞ্জাবি, শহীদুল্লাহ কায়সারের দুটি টাই ও ডায়েরি, বিবিসির সংবাদদাতা নিজামউদ্দীন আহমেদের কোট, সেলিনা পারভীনের কলম ও শাড়ি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের পাঞ্জাবি, পায়জামা ও পা-ুলিপি, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার লেখা বই, ডা. আলীম চৌধুরীর ভিজিটিং কার্ড, ল্যাম্প, ডেন্টাল টুলকিট ও ডায়েরি আছে জাদুঘরে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এগুলো জাদুঘরে দান করেছেন।
সরেজমিনে জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথের পরেই প্রথম গ্যালারিতে ঢুকতেই চোখে পড়ে কাঁচঘেরা কয়েকটি বাক্স। একটি বাক্সে আছে একাত্তরের অস্থির সময়ে স্ত্রী জোহরাকে লেখা তাজউদ্দীন আহমদের চিঠি। সে সময়ের জনপ্রিয় বক মার্কা সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠে মাত্র দুই লাইনের সেই চিঠি। তাতে লেখা ‘জোহরা, পারলে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির সাথে মিশে যেয়ো।’ ওই মতো ব্যবস্থা (দুই) ।
একাত্তরে শহীদ হন সেকান্দার আলী সেরনিয়াবাতের তিন সন্তান। ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সেকান্দারকে তিন হাজার টাকার চেক দেন বঙ্গবন্ধু। শহীদ সন্তানদের শেষ স্মৃতি হিসেবে সেই চেকের টাকা আর তোলেননি সেকান্দার। চেকটি রাখা আছে পাশের একটি বাক্সে।
জাদুঘরের গবেষণা কর্মকর্তা রিফাত ফারজানা জনকণ্ঠকে জানান, জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই আছে ৫ হাজারের ওপর। গণহত্যা ও নির্যাতনের ওপর বাঁধানো ছবি আছে ১৫৫টি। আগরতলার শিল্পীদের আঁকা ‘শিল্পীর চোখে গণহত্যা-নির্যাতন আর্ট’ শিরোনামের ছবি আছে ১২টি। ২০১৫ সালে ‘শিল্পীর চোখে গণহত্যা নির্যাতন’ নামে একটি আর্ট ক্যাম্প হয়, সেখানকার ছবি আছে ১৭টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রামাণ্যচিত্রের ২৫০টি সিডিসহ মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার নানান নিদর্শন আছে।
জাদুঘরের ১১ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গণহত্যা জাদুঘর এটি। খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা মোটামুটি জাদুঘরটিকে দাঁড় করাতে পেরেছি। নিদর্শনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দর্শক ক্রমেই বাড়ছে। গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সোমবার বাদে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং নভেম্বর থেকে জানুয়ারি সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাদুঘরটি খোলা থাকে। প্রতি শুক্রবার এটি বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। জাদুঘরে প্রবেশ ফি ৫ টাকা।
প্রথমবারের মতো গণহত্যা জাদুঘরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ॥ শুক্রবার খুলনার শিল্পকলা একাডেমিতে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর উদ্যোগে বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ গণহত্যা : পরিণাম, প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনার শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ১৯৭১  গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
দুই দিনব্যাপী এই দেশ-বিদেশের প্রায় ২০ জন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। সম্মেলনের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থনীতিবিদ, সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি গণহত্যা জাদুঘরকে ধন্যবাদ জানান এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। তিনি গণহত্যা জাদুঘরের জন্মলগ্ন থেকে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি এই ধরনের সম্মেলন আয়োজনের গুরুত্ব সবার সামনে তুলে ধরে বলেন, ‘এই ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দুনিয়ার গণহত্যা বিষয়ক চিন্তাচর্চার সঙ্গে বাংলাদেশের চিন্তাচর্চার মেলবন্ধন ঘটানো’। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার সঙ্গে গত শতকের অন্যান্য অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যার মিল ও অমিল রয়েছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশের গণহত্যা বৈশ্বিক ইতিহাসেরও অংশ। হত্যার স্বীকৃতির জন্য আমাদের যে লড়াই তাকে বেগবান করতে হলে এধরনের তুলনামূলক আলোচনা গুরুত্ব বহন করে। ফলে, গণহত্যা জাদুঘর আয়োজিত এই সম্মেলন বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যবাহী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকা-ের পর ধীরে ধীরে গণহত্যা আড়ালে পড়ে যায়।
সভাপতির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন গণহত্যা জাদুঘর গড়ে ওঠার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, গণহত্যা জাদুঘর কেবল নিদর্শন প্রদর্শনের কাজই করছে না, বরঞ্চ মাঠ পর্যায়ে যে গবেষণা চালাচ্ছে সেটা বদলে দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার গতিপথ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্য গণহত্যা-নির্যাতন। একের অধিক মানুষ হত্যাকেই চিহ্নিত করা হয়েছে গণহত্যা হিসেবে। নির্যাতনের অন্তর্গত শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বগাথা সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং তা স্বাভাবিক। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো একটি দেশে এত অল্প সময়ে এত মানুষ হত্যা করা হয়নি। যদিও আমরা বলি ৩০ লাখ শহীদ হয়েছেন, কিন্তু মনে হয় সংখ্যাটি তারও বেশি। গণহত্যা, বধ্যভূমি, নির্যাতন মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে একেবারে নেই তা নয় কিন্তু গুরুত্ব ততটা এর ওপর দেওয়া হয়নি। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের ব্যাপারটি আড়ালে পড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যার ভয়াবহতা ও তীব্রতা বোঝার একটা ভালো উপায় হচ্ছে গত শতকে সারাদুনিয়াতে সংঘটিত গণহত্যাগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা করা। তাহলে যেমন বাংলাদেশ গণহত্যার তীব্রতা বোঝা সম্ভব, তেমনি গণহত্যা স্বীকার অস্বীকারের রাজনীতিও পরিষ্কারভাবে বোঝা সম্ভব। বিশ শতকে আর্মেনিয়া থেকে শুরু করে করাত পর্যন্ত অজস্র গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সবগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে তাও নয়, কিন্তু গবেষকরা সেগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। কেবল গণহত্যায় এত বেশি সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন যে, গত শতকে গবেষকগণ সেঞ্চুরি অব জেনোসাইড’ বলে অভিহিত করেছেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে যে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী ও সামরিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গণহত্যা ঘটানোর প্রবণতা বেশি। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের মধ্যে হত্যা প্রতিরোধে নানা ধরনের এক্টিভিয়ামও লক্ষ্যণীয় গণহত্যা বিরোধী প্রচারণাতেও দেশ ও বিদেশের নাগরিক সমাজের একাংশ থেকেছেন। তারা সিনেমা বানিয়েছেন, উপন্যাস লিখেছেন, গবেষণা করেছেন, জাদুঘর ও আর্কাইভ গড়ে তুলেছেন। এই সদিচ্ছার পেছনে লুকিয়ে আছে বিশ্বের সচেতন অংশের কিছু অভিন্ন স্বপ্ন : গণহত্যা প্রতিরোধ করা, গণহত্যার শিকার জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং আক্রান্তদের মানসিক ও শারীরিক আঘাতকে সুস্থ করে তোলা।
বিভিন্ন সেশনে প্রবন্ধ পাঠ করবেন অধ্যাপক সানা কে ভরদ্বাজ, ভারত, ড. স্মৃতি এস পাটনায়েক, ভারত, ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান, বাংলাদেশ, ড. তিস্তা দাস, ভারত, মামুন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ, ড. লোপামুদ্রা বাজপেয়ী, ভারত, অধ্যাপক পবিত্র ভরদ্বাজ, ভারত, অধ্যাপক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত, ড. শুভরঞ্জন দাশগুপ্ত, ভারত ড. চৌধুরী শহীদ কাদের, বাংলাদেশ, ড. শম্পা ঘোষ, পুনম মুখার্জি, ড. সুভাষ চন্দ্র সুতার।
সম্মেলন উপলক্ষে বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর্যের শিল্পকর্ম এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। দুইদিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে। পাশাপাশি গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন কর্ম অধিবেশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, লে. কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

 

×