
নৃত্যশিল্পী সংস্থা আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের নৃত্য প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা
করোনা মহামারীর কারণে থমকে গিয়েছিল প্রান্তিক পর্যায় থেকে নৃত্যশিল্পী তুলে আনার আয়োজনটি। সেই সুবাদে ভাটা পড়েছিল নাচের ছন্দে। এ বছর পুনরায় গতিময় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা আয়োজিত প্রতিযোগিতাটি। সারা দেশের ৫০টি জেলা এবং সেসব জেলার অন্তর্ভুক্ত উপজেলা পর্যায়ে নৃত্যশিল্পীদের অংশগ্রহণের সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এই প্রতিযোগিতা। সৃজনশীল, লোকনৃত্য ও শাস্ত্রীয় নৃত্যের আশ্রয়ে সজ্জিত ছিল এ আয়োজন। তিনটি শাখায় বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ সাতটি বিষয়ের শিল্পীদের নিয়ে ২২, ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। আর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের হাতে রবিবার তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। শরতের সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বর্ণিলতা ছড়িয়ে দিল প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানটি। পুরস্কার প্রদানের সঙ্গে ছিল প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় নৃত্য পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহ্কাম উল্লাহ্। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য দেন নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মীনু হক।
স্বাগত বক্তব্যে মীনু হক বলেন, বিগত দুইটি বছর অতিমারীর কারণে নৃত্যশিল্পীরা সরব হতে পারেনি মঞ্চে। তবে সেই অস্থির সময়েও থেমে ছিল না নৃত্যশিল্পী সংস্থা। সবাই মিলে করি শিরোনামে অনলাইনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উজ্জীবিত রেখেছে সংস্থা। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় এ বছর পুরোদমে শুরু হয়েছে সংস্থার কার্যক্রম। সেই গতিময়তার অংশ হিসেবেই অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় ভিত্তিক এই নৃত্য প্রতিযোগিতা।
আলোচনা ও পুরস্কার প্রদান শেষে ছিল পরিবেশনা পর্ব। পরিবেশিত হয় সৃজনশীল, শাস্ত্রীয় ও লোকনাচ। নৃত্যের ছন্দের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। একটি দেশ, একটি নেতা, একটি ডাকেই স্বাধীনতা শীর্ষক গানের সুরে নাচ করে একঝাঁক শিল্পী। এছাড়াও মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে উপস্থাপিত হয় শাস্ত্রীয় ঘরানার ভরতনাট্যম, ওড়িশি ও কত্থক নৃত্য। সেই সঙ্গে ছিল লোকনৃত্যের পরিবেশনা।
মহালয়া উপলক্ষে অনলাইনে আগমনী গান ॥ মহালয়া উপলক্ষে সৃজনশীল গানের দল নিবেদন রবিবার রাতে অনলাইনে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন। সঙ্গীত দলটির ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠিত হয় আগমনী গান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুমা রানী রায়, সুমনা দাশ, শাহীনা আক্তার পাপিয়া, লীনা দাশ, পান্না দত্ত, শিল্পী চট্টোপাধ্যায় ও সৃজ্যোতি রায়। তাদের পরিবেশিত গানগুলোর শিরোনাম ছিল- চন্ডী থেকে স্তোত্র, এবার আমার উমা এলে, আজ শরতে আনন্দ ধরে না, এই মহামায়া যুগল মালা, শারদ আকাশে ভেসে ভেসে, আনন্দিনী মা যে আমার, মহামায়া আদ্যাশক্তি, আনন্দিনী উমা আজো, আসবেন বলে মা, আছো মাগো আছো, বাজলো তোমার আলোর বেণু, আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ এবং ওগো আমার আগমনী।