ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় টিকটকার আটক

প্রকাশিত: ০০:০২, ২৫ মে ২০২২

পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় টিকটকার আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ টিকটক ভিডিও করার সুবাদে তরুণীর সঙ্গে প্রেম করে তাকে ভারতে পাচারের পর কলকাতার পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে সোহেল মিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোহেল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে এবং ঘটনার শিকার মেয়েটি পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-হবিগঞ্জ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইদিন সকালে মৌলবিবাজার জেলা সদর থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা পুলিশ। পুলিশ ও র‌্যাব সূত্র জানান, টিকটক ভিডিও তৈরি করার সুবাদে সোহেল মিয়ার সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। তিন বছর আগে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। একপর্যায়ে মেয়েটিকে নিয়ে সাতক্ষীরার সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি জমান সোহেল। সেখানে কলকাতা শহরে তার প্রেমিকাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে প্রেমিক সোহেল। সেখানে আট থেকে নয় মাস অবস্থানের পর একই সীমান্ত দিয়ে কৌশলে পালিয়ে আসে মেয়েটি। প্রেমিক সোহেলও কিছু দিন পর ভারত থেকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন। এরপর চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ আদালতে সোহেল তার প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন স্ত্রীকে নিয়ে হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন সোহেল। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। আবার স্ত্রীকে ভারতে পাচার করতে পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলতি বছরের ১৩ মে কৌশলে পাটগ্রামের দহগ্রামে পাঠায় সোহেল। দহগ্রাম থেকে ভারতে পাঠানোর সময় পাচারকারীদের একজন মোকছেদুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ভারতে পাচারের পর ওই নারী বুঝতে পারে, স্বামী তাকে আবার পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করেছে। পরে এ পথে ১৫ মে পুনরায় ফিরে আসে সে। ফেরার পথেও অপর পাচারকারী আশরাফুল ইসলামের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণ করেও তাকে ছেড়ে দেয়নি পাচারকারী চক্রটি। টাকার জন্য ওই নারীকে আটকে রাখে। অবশেষে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ২১ মে সকালে পাটগ্রাম থানায় গিয়ে ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দেয় নির্যাতিত ওই নারী।
×